প্রতিবেদন : ফের শহরে বজ্রপাতে দু’জনের মৃত্যু, আহত হয়ে হাসপাতালে আরও একজন। একদিকে প্রবল তাপপ্রবাহ, সেই সঙ্গে তীব্র আপেক্ষিক আর্দ্রতা। জোড়া-ফলায় গত কয়েকদিন ধরেই নাজেহাল শহর কলকাতা-সহ রাজ্যবাসী। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার রাজ্যবাসীকে সুখবর শুনিয়েছিল হাওয়া অফিস। পূর্বাভাস মতো শুক্রবার দুপুরের পর বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিতে ভিজল মহানগরী। এদিন দুপুর থেকেই মেঘলা ছিল আকাশ। বিকেল হতেই শুরু হয় মুষলধারে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি।
আরও পড়ুন-প্রার্থী না পেয়েই বিরোধীরা শেষ পর্যন্ত গেল আদালতে
প্রায় ঘণ্টা দুয়েকের বেশি বৃষ্টিতে স্বস্তি মিলেছে শহরবাসীর। বৃষ্টির জেরে একধাক্কায় ১০ ডিগ্রিরও বেশি পারদ নেমে গেল শহরে। বৃষ্টি হলেও চিন্তা বাড়িয়েছে বজ্রপাতে মৃত্যু। এরই মধ্যে চোখ রাঙাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’। শুক্রবার ট্যুইট বার্তায় মৌসম ভবন বলেছে যে, ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’ পরবর্তী ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র হতে চলেছে এবং আগামী দু’দিনের মধ্যে তা শক্তি বাড়িয়ে ক্রমশ উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে। তবে আপাতত আরব সাগরে অবস্থান করা ‘বিপর্যয়’ এ-রাজ্যে কতটা প্রভাব ফেলবে তা এখনও নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না আবহবিদেরা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার বিকেলে কলকাতার প্রগতি ময়দান থানার ধাপায় বাজ পড়ে দুই মহিলা গুরুতর ভাবে আহত হন। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে দু’জনকেই মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।
আরও পড়ুন-বাংলা জুড়ে ভোট প্রস্তুতি
মৃতেরা হলেন সোনারপুরের বাসিন্দা ৪৫ বছরের কাজলা নস্কর ও লেদার কমপ্লেক্স থানার তারদহের বাসিন্দা ২৪ বছরের পলানি মণ্ডল। বজ্রাঘাতে আহত সন্ন্যাসী মণ্ডল নামে আরও এক ব্যক্তি আশঙ্কাজনক অবস্থায় ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এদিন দুপুর ৩টে নাগাদ শহরে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি নামে। এর জেরে অসহনীয় গরম থেকে স্বস্তি পেল শহরবাসী। বৃষ্টির সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়ায় বেশ কিছু জায়গায় বাড়ি-ঘরের চাল উড়ে গিয়েছে। কয়েকটি গাছ উপড়ে যায়। হাওয়া অফিসের খবর, বৃষ্টিতে সামান্য স্বস্তি মিললেও তা দীর্ঘস্থায়ী হবে না। ফের শুরু হবে গরমের দাপট।