সংবাদদাতা, হুগলি : কলকাতার রবিনসন স্ট্রিটের ছায়া এবার চুঁচুড়ায়। সেখানে মায়ের পচাগলা দেহ আগলে নিয়ে বসেছিল ছেলে। এখানে আনুমানিক দিন চারেক ধরে বউদির পচাগলা দেহ আগলে বসে রইল ১৩ বছর বয়সি ননদ। ঘটনায় যথেষ্ট চাঞ্চল্য চুঁচুড়ার ধরমপুর মহিষমর্দিনী তলায়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মৃতার নাম দীপমালা কুমারী। বয়স ৩২। স্বামী সনুকুমার সিং ও ১৩ বছর বয়সি ননদের সঙ্গে ওই বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। বাড়িমালিক কৃষ্ণকান্ত ঘোষ জানান, দীর্ঘ একমাস ধরে ভাড়ায় এসেছিলেন তাঁরা। খুব একটা বাইরে বেরোতেন না। কারও সঙ্গে মিশতেনও না, আজ হঠাৎ ওই ঘর থেকে পচা দুর্গন্ধ পেয়ে পুলিশে খবর দেন।
আরও পড়ুন-শহর পরিচ্ছন্ন রাখতে নয়া উদ্যোগ পুরসভায়
ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে দেহটিকে চুঁচুড়া সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। পরিচয়পত্র দেখে জানা গিয়েছে, পরিবারটি বিহারের বেগুসরাইয়ের বাসিন্দা। বাচ্চাটি নাবালিকা হওয়ার কারণে তার ছবি না দেখাতে পারলেও, তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মৃত মহিলা তার বউদি ছিলেন। তার দাদা সনু নাকি আজকেই তালা মেরে গিয়েছিলেন। সূত্র মারফত জানা যায়, বেশ কয়েকদিন আগে ওই মহিলার মৃত্যু ঘটেছে। তাহলে আজ যখন সনু দরজায় তারা মেরে গেলেন, তখন কি তিনি ব্যাপারটা জানতেন না? কোথাও একটা রহস্য দানা বাঁধছে। চুঁচুড়া থানার পুলিশ সেই রহস্যেরই জট খোলার চেষ্টা করছে।