মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও এই আলোচনায় যাঁরা বললেন—
ব্রাত্য বসু
ইডি, সিবিআইকে শুধু পশ্চিমবঙ্গে নয়, গোটা ভারতবর্ষে বিরোধীদের দুরমুশ করতে কাজে লাগানো হচ্ছে। মহারাষ্ট্র, ঝাড়খণ্ড, বিহার— সব রাজ্যে এই পরিস্থিতি। সুপ্রিম কোর্ট তো সিবিআইকে আগেই খাঁচায় বন্দি তোতাপাখি বলেছে। মধ্যপ্রদেশে ব্যাপম কেলেঙ্কারিতে এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। প্রায় ৪৬ জন খুন হয়ে গিয়েছে এই মামলায়।
আরও পড়ুন-লক্ষ রঙিন চকের দুর্গা দর্শনই লক্ষ্য
ফিরহাদ হাকিম
এখন সারা ভারতে যত বিরোধী আছে সবাই অসাধু। আর বিজেপি সাধু। বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার দমনপীড়নের সরকার। সিবিআইতে সেরা অফিসাররা আছেন। কিন্তু তাঁদের রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। অথচ নীরব মোদি, বিজয় মালিয়ার মতো লোকেরা প্রায় ৮১ হাজার কোটি টাকা মেরে পালিয়েছে। এদের পিছনে ইডি, সিবিআই যাচ্ছে না। মনে রাখতে হবে রাজশক্তি শেষ কথা বলে না। জনগণই শেষ কথা বলে। যারা কেন্দ্রে ক্ষমতায় থাকে তারাই এজেন্সির অপব্যবহার করে।
আরও পড়ুন-উত্তাল হবে সমুদ্র, বইবে ঝোড়ো হাওয়া
পার্থ ভৌমিক
সিবিআই তোতাপাখি ছিল। এখন চিতা বাঘ হয়ে গিয়েছে। এখানে উপস্থিত বিরোধী দলনেতা বলতে পারবেন যে মামলায় মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে গ্রেফতার করেছিল এজেন্সি, সেই একই মামলায় আপনাকে কেন গ্রেফতার করে না? আপনি ভাষা-সন্ত্রাস করেন। আবার অন্যকে ভাষা-সংগ্রাম শেখাতে যান। আপনার পিতার পরিচয় সকলে জানে। সম্মান করে। অথচ আপনি আমাদের দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পিতৃপরিচয় নিয়ে কুকথা বলছেন। মানুষের কাছে সবকিছু এখন দিনের আলোর মতোই পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন-বিশ্বভারতীতে পোশাক বিতর্ক
বীরবাহা হাঁসদা
আমি বাংলার আদিবাসী গ্রামের এক সাধারণ মেয়ে। এই ধরনের কুৎসিত রাজনীতি কোনওদিন দেখিনি। এখন যাঁরা বিরোধী বেঞ্চে বসে বড় বড় কথা বলছেন, তাঁদের অনেকেই আমাদের দলে ছিলেন। এখন বিজেপির ওয়াশিং মেশিনে গিয়ে সাধু হয়ে গিয়েছেন। মানুষ এসব ভাল চোখে দেখেন না। বস্তুত মন্ত্রী বলতে চেয়েছেন বিজেপি ধরা পড়ে গিয়েছে।