যুদ্ধ বিধ্বস্থ ইউক্রেন থেকে আটকে পড়া ভারতীয় নাগরিকদের দেশে ফেরার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এরাজ্যের বহু মানুষ সেখানে আটকে রয়েছেন। তাদের নিরাপদে রাজ্যে ফিরিয়ে আনতে তৎপর নবান্ন। ইউক্রেনে আটকে থাকা রাজ্যের বাসিন্দাদের সাহায্যে শুক্রবারই কন্ট্রোল রুম খুলেছে রাজ্য সরকার৷ কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বে থাকছেন একজন আইএএস অফিসার৷ কন্ট্রোল রুমের নম্বরগুলি হল ২২১৪-৩৫২৬ এবং ১০৭০৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) শনিবার সন্ধ্যায় টুইট করে জানিয়েছেন, এ পর্যন্ত ইউক্রেনে আটকে পড়া এরাজ্যের ১৯৯ জন বাসিন্দার তথ্য বিদেশ মন্ত্রক দেওয়া হয়েছে।তাঁদের যাতে দ্রুত এবং নিরাপদে ফিরিয়ে আনা হয় সে সম্পর্কে অনুরোধ জানানো হয়েছে রাজ্যের তরফে। রাজ্যের রেসিডেন্ট কমিশনারের তরফে বিদেশ মন্ত্রকের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান সেদিন রাতেই রাজ্যের কয়েকজন পড়ুয়া দিল্লি এবং মুম্বাইতে পৌঁছাবেন। রাজ্য সরকার তাদের বিমানের টিকিট সহ বাড়ি ফেরানোর সমস্ত খরচ বহন করছে। আটকে পড়ুয়াদের পরিবারের সঙ্গেও রাজ্য সরকারের তরফে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। পড়ুয়াদের বাড়ি ফিরতে সহায়তা করার জন্য দমদম বিমানবন্দরে বিশেষ সাহায্যকারী দল মোতায়েন করা হয়েছে বলেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন – যুদ্ধ-বিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে দেশে ফিরতে মরিয়া ফুটবলাররা
প্রশাসনিক সূত্রে খবর শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত রাজ্য সরকারের বিশেষ হেল্পলাইনে ইউক্রেনে আটকে পড়া রাজ্যের বাসিন্দাদের পরিবারের তরফে ১৫০ র বেশি ফোন এসেছে।।এদিন সকাল ৯ টা থেকে কন্ট্রোল রুম খোলার পরেই ফোন আসতে শুরু করে।তাঁদের কাছ থেকে সমস্ত তথ্য নিয়ে প্রয়োজনীয় সব রকম সহায়তার আশ্বাস দেওয়া হয়। এরইমধ্যে এখনও পর্যন্ত রাজ্যের রেসিডেন্ট কমিশনার মারফত কেন্দ্রের বিদেশমন্ত্রকের কাছে খবর পাঠানো হয়েছে রাজ্যের করা কারা এখনও আটকে আছেন।শুধু হেল্পলাইন নম্বরই নয়, এই মুহূর্তে ঠিক রাজ্যের কতজন আটকে রয়েছেন সে দেশে সেই সংক্রান্ত তালিকাও তৈরি হয়েছে। এমনকি বিদেশ মন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ করেও তথ্য সংগ্রহ করার চেষ্টা করছে রাজ্য সরকার। এছাড়াও প্রত্যেক জেলাতেও এই বিষয়ে নবান্নের তরফে নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। কোন জেলায় রাজ্যের কতজন ইউক্রেনে আটকে রয়েছেন সে বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। ঠিকানা, বর্তমানে তাঁরা কোথায় রয়েছেন, পাসপোর্ট সংক্রান্ত তথ্য জানানোর নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য। এছাড়াও যদি কোনও নম্বর থাকে তাহলে তাও জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।