প্রতিবেদন : বাংলার পুলিশ দেখিয়ে দিল নির্বাচনে শান্তি বজায় রাখার ক্ষেত্রে তাদের দক্ষতা প্রশ্নাতীত। বিরোধীরা যতই গলা ফাটাক,যতই অভিযোগের বন্যা বইয়ে দিক, সবকিছুই ঠান্ডা মাথায় সামাল দিয়েছে রাজ্য পুলিশ। প্রমাণ করে দিয়েছে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর নজরদারিতে পুরনির্বাচন করানোর দাবি অর্থহীন। কলকাতা পুরনির্বাচন থেকে শুরু করে সদ্যসমাপ্ত বিধাননগর, চন্দননগর, আসানসোল এবং শিলিগুড়ি পুরসভার নির্বাচন— সব জায়গাতেই গণতন্ত্রের অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকায় রাজ্যের বাহিনী।
আরও পড়ুন-ভোটের আগে কাঁচরাপাড়ায় রুট মার্চ
কোথাও সে অর্থে কোনও বড়মাপের গন্ডগোলই হয়নি। আসানসোলে একজায়গায় পাশের রাজ্য থেকে দুর্বৃত্ত নিয়ে এসে এলাকায় সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা তৈরির অপচেষ্টা বানচাল করে দিয়েছে রাজ্য পুলিশই। বিধাননগরে পুরনির্বাচনেও পুলিশের ভূমিকায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে গণতন্ত্রপ্রেমী মানুষ। এমন শান্তিপূর্ণ পুরনির্বাচনের অভিজ্ঞতা বিধাননগরবাসীর এই প্রথম। সত্যি কথা বলতে কী, ১৯৯৫ থেকেই সিপিএমের মস্তানবাহিনীর পেশিশক্তির আস্ফালন দেখা গিয়েছে প্রতিটি পুরনির্বাচনে। রাজ্যে শাসনক্ষমতায় থাকার সুযোগ নিয়ে বহিরাগত দুষ্কৃতী এনে ভোট করিয়ে পুরসভার ক্ষমতা দখলে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছিল সিপিএম।
আরও পড়ুন-সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শোকবার্তা
ক্ষমতা হারানোর পরেও এই বদভ্যাসটা ছাড়তে পারেনি তারা। একইভাবে সস্তায় বাজিমাত করার চেষ্টা করেছিল গেরুয়া শিবিরও। জনসমর্থনের শূন্য খাতা তারা ভরানোর স্বপ্ন দেখেছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর সমর্থনে। কিন্তু রাজ্যের বাহিনীতেই আস্থা রেখেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এবং প্রমাণিত হয়েছে, এই ভরসা সঠিক। বিধাননগরের অনেক বিজেপি নেতাও একান্তে স্বীকার করেছেন, যেখানে দলের প্রতিই মানুষের আস্থা নেই সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর দাবি হাস্যকর।
তাছাড়া রাজ্য পুলিশও তো যথেষ্ট দক্ষ এবং অত্যাধুনিক। এলাকার মানুষের আস্থাও অর্জন করতে পারে সহজে। এবারের ভোটে সল্টলেকে এডিজি সিআইডি জ্ঞানবন্ত সিং-এর নেতৃত্বে সাড়ে চার হাজার পুলিশ কর্মীর সজাগ দৃষ্টি এড়িয়ে আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নিত করার কোনও সুযোগই পায়নি ষড়যন্ত্রকারীরা।