প্রতিবেদন : সুন্দরবন এলাকায় বিপজ্জনক নদী বাঁধগুলি সংস্কারে রাজ্য সরকার বিশেষ কর্মসূচি নিচ্ছে। বুধবার বিধানসভার প্রশ্নোত্তর পর্বে এ কথা জানান, রাজ্যের সেচ ও জলপথ মন্ত্রী মানস ভূঁইয়া। এক প্রশ্নের জবাবে মানসবাবু জানান, সুন্দরবন অঞ্চলের বিপজ্জনক নদী বাঁধ সুরক্ষায় রাজ্য সরকার বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
সুন্দরবন অঞ্চলের বিপজ্জনক নদী বাঁধ সুরক্ষায় বিশ্ব ব্যাঙ্কের আর্থিক সহায়তায় একটি সার্বিক পরিকল্পনা রূপায়ণ রাজ্য সরকারের বিবেচনাধীন। পরিবেশবান্ধব নদীবাঁধ নির্মাণের লক্ষ্যে গত অগাস্ট মাস থেকে একাধিকবার আন্তর্জাতিক প্রযুক্তিবিদদের সঙ্গে সুন্দরবনের বিভিন্ন বাঁধ পরিদর্শন ও তার প্রযুক্তিগত বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। তাদের পরামর্শ ও রাজ্য সরকারের অন্যান্য বিভাগ যেমন বনবিভাগ, সুন্দরবন বিষয়ক বিভাগ, জলসম্পদ অনুসন্ধান এবং উন্নয়ন বিভাগ, কৃষি বিভাগ, মৎস্য বিভাগ ইত্যাদিদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে এবং আয়লা বাঁধ নির্মাণের অভিজ্ঞতার উপর নির্ভর করে সুন্দরবনের ক্ষতিগ্রস্ত নদীবাঁধ পুনর্নির্মাণের সার্বিক পরিকল্পনা করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, নদীবাঁধ নির্মাণের সঙ্গেই বাঁধের ধারে ম্যানগ্রোভ বৃক্ষরোপণ কৃষিকাজ ও মৎস্য চাষের উন্নতির মাধ্যমে জীবিকা অর্জনের ব্যবস্থা করাও এই পরিকল্পনার একটা অংশ। উপরিক্ত পদ্ধতিতে প্রাথমিক পরিকল্পনা রিপোর্ট তৈরির পর রাজ্য মন্ত্রিসভা এই প্রস্তাবের উপর গত ৬ মার্চ ২০২৪ তারিখে তার অনুমোদন দিয়েছে বলেও মন্ত্রী জানান। উপরিউক্ত পদ্ধতিতে প্রাথমিক পরিকল্পনা রিপোর্ট কেন্দ্রীয় সরকারের ডিপার্টমেন্ট অফ ইকনমিক্স অ্যাফেয়ার অর্থাৎ ডিইএ বিভাগে এপ্রিল ২০২৪ তারিখে পাঠানো হয়েছে প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র পাওয়ার জন্য। প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র পাওয়া গেলে এই ব্যাপারে বিস্তারিত প্রকল্প রিপোর্ট তৈরি করার কাজ শুরু হবে। প্রাথমিক পরিকল্পনা রিপোর্ট অনুযায়ী প্রকল্পের অনুমতি ব্যায় ৪১০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে বাঁধ নির্মাণের আনুমানিক খরচ ২০৫০ কোটি টাকা বিবেচনা করা হয়েছে বলে মন্ত্রী ডাঃ মানস ভুঁইয়া জানান।