প্রতিবেদন : রাজ্যে চলতি বছরে আলুর উৎপাদন বেশ কিছুটা কম হয়েছে। তবে তা রাজ্যের প্রয়োজনের তুলনায় যথেষ্ট বলে কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন। বুধবার বিধানসভার প্রশ্নোত্তর পর্বে এক সদস্যের প্রশ্নের উত্তরে কৃষিমন্ত্রী জানান ’২২, ’২৩ সালে রাজ্যে আলু উৎপাদন হয়েছিল ১ কোটি ৪৮ লক্ষ মেট্রিক টনের বেশি। যেখানে চলতি বছরে আলু উৎপাদন হয়েছে ১ কোটি ২৭ লক্ষ ৬৩ হাজার মেট্রিক টনের মত। আলু বীজ বপনের মরশুমে বৃষ্টির কারণে এবারও আলু চাষ বিঘ্নিত হয়েছে। তবে এর প্রভাবে বাজারে আলুর ঘাটতি হওয়ার কোনও আশঙ্কা নেই বলে মন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন। পরে বাইরে সাংবাদিকদের শোভনদেববাবু বলেন রাজ্যে আলুর বাৎসরিক চাহিদা কমবেশি ৬৫ লক্ষ মেট্রিক টন। চাহিদা মেটানোর পরেও আলু অনেকটাই উদ্বৃত্ত হওয়ার কথা। কিন্তু আলু ব্যবসায়ীদের একাংশ বেশি দামের আশায় হিমঘরে আলু আটকে রাখার প্রবণতায় সমস্যা বাড়ছে। যা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কঠোর পদক্ষেপ করেছেন।
আরও পড়ুন-সুন্দরবনের বিপজ্জনক নদীবাঁধগুলি সংস্কারে বিশেষ পরিকল্পনা রাজ্যের
তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন, রাজ্যের প্রয়োজন না মিটিয়ে ভিন রাজ্যে আলু রফতানি করা যাবে না। পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে রেহাই দিতে সুফল বাংলা স্টল থেকে বাজারের তুলনায় কেজিতে ৫ থেকে ৬ টাকা কম দামে আলু বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়াও আলু চাষিদের উন্নয়নের লক্ষে সরকারের পরিকল্পনা প্রসঙ্গে কৃষিমন্ত্রী বিধানসভায় বিস্তারিত তথ্য দেন। তিনি বলেন, আলু বীজের জোগান বাইরের রাজ্যের উপর ভরসা না করে পশ্চিমবঙ্গে উন্নত জাতের রোগ মুক্ত বীজ উৎপাদনের জন্য হাইটেক আলু বীজ এবং এপিকাল রুটেড কাটিং পদ্ধতির মাধ্যমে বীজকন্দ উৎপাদনের প্রক্রিয়া গোটা রাজ্যের ২০টি জেলায় এবছর কাজ শুরু হয়েছে। গত বছরে (২৩-২৪) ১৩টি জেলাতে সফল ভাবে কাজ করছে। ব্রিডার থেকে ফাউন্ডেশন এবং ফাউন্ডেশন থেকে উন্নত গুণমানের সার্টিফায়েড আলুবীজ তৈরি করা হচ্ছে। এছাড়াও সময়োপযোগী কৃষি পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে ও শস্যবিমার পুরো প্রিমিয়াম সরকার বহন করবে বলেই শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জানান।