প্রতিবেদন : বাম আমলের থেকে বেশি ডিএ দিয়েছে বর্তমান সরকার। ধীরে ধীরে সব ডিএ আমরা দিয়ে দেব। শুক্রবার বিধানসভায় বললেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। বাম আমলে যেখানে ৩৫ শতাংশ ডিএ দেওয়া হয়েছে, খরচ হয়েছে প্রায় ৮ হাজার ২০০ কোটি টাকা। সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকার ২০১১ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ৯০ শতাংশ ডিএ দিয়েছে। এই খাতে খরচ হয়েছে ২৭ হাজার কোটি টাকা। শুক্রবার বিধানসভায় মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বললেন, অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। তাঁদের কথায়, মুখ্যমন্ত্রী আন্তরিকভাবে চান রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ দিতে। কিন্তু যেভাবে অতীত ভুলে গিয়ে ডিএ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলি আন্দোলন করছে তাদের এগুলি মনে রাখা উচিত।
আরও পড়ুন-মিলেমিশে কাজ করুন বীরভূমে,বললেন অভিষেক
ডিএ নিয়ে একটার পর একটা মামলা ও গা-জোয়ারি করে যাচ্ছে একশ্রেণির কর্মচারী সংগঠন। তাদের দাবি, এখুনি কেন্দ্রের হারে ডিএ দিতে হবে। চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের ডিএ-র তুলনা করে লাভ নেই। কারণ, অনেকরকম হিসেবনিকেশ করে ডিএ-র হিসেব কষা হয়৷ এরপরেও আমাদের মানবিক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চান সরকারি কর্মচারীদের ডিএ দিতে। কিন্তু একসঙ্গে সবটা দিতে গেলে যে পরিমাণ অর্থ লাগবে তা সম্ভব নয়। এমনিতেই কেন্দ্রীয় সরকার তাদের প্রাপ্য বকেয়া দিচ্ছে না। তবুও আমরা ডিএ দিতে চাই।
আরও পড়ুন-সংবিধান দিবসে ভবনের দ্বারোদ্ঘাটন, অসহিষ্ণুতার অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর
মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া বলেন, রাজ্য সরকার কর্মীদের কিছুই দিচ্ছে না বলে একটা প্রচার চালানো হচ্ছে। কিন্তু তা সঠিক নয়। ষষ্ঠ বেতন কমিশনের সুপারিশ কার্যকর করার সময় ১২৫ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা যুক্ত করে নতুন বেতনক্রম ধার্য করা হয়েছে। ২০২১ সালে তাদের আরও তিন শতাংশ বেতন বৃদ্ধি করা হয়েছে। ডিএ নিয়ে অবহেলা করা হচ্ছে এমনটা নয়। একটা গেল-গেল বাতাবরণ তৈরি করা হচ্ছে। আমরা ২০১১ থেকে ২০১৯ সাল অবধি ২৭ হাজার কোটি খরচ করেছি। আমরা দেওয়ার মন নিয়ে দিচ্ছি। সংবেদনশীল মন দিয়ে দিচ্ছি। কিন্তু একবারও কেউ বলছেন না কেন্দ্রীয় সরকার অর্থনৈতিক অবরোধ করছে।