মুখ্যমন্ত্রীর কোভিডবিধি তুলে নেওয়ার ঘোষণার পরেই আর্থিক বিধিনিষেধ প্রত্যাহার রাজ্যের

রাজ্য সরকার বিভিন্ন দফতরের ওপর জারি থাকা কোভিড অতিমারিজনিত আর্থিক বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করে নিয়েছে।

Must read

প্রতিবেদন: রাজ্য সরকার বিভিন্ন দফতরের ওপর জারি থাকা কোভিড অতিমারিজনিত আর্থিক বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করে নিয়েছে। পূর্ত, জনস্বাস্থ্য কারিগরি, পঞ্চায়েত, সেচ, নগরোন্নয়ন, স্বাস্থ্য দফতরের মতো বড় দফতর অর্থ দফতরের অনুমোদন সাপেক্ষে ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত প্রকল্প হাতে দিতে পারবে বলে জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন-কেন্দ্রের নজর নেই, ফের ভাঙনের কবলে সামশেরগঞ্জ ব্লকের গ্রাম

এর আগে কোভিডজনিত পরিস্থিতির কারণে ২০২১ সালের জুন মাসে বিভিন্ন দফতরের প্রকল্প ব্যয় হ্রাস করা হয়েছিল। শুধুমাত্র পূর্ত এবং নগরোন্নয়ন বিভাগকে দেড় কোটি টাকা পর্যন্ত প্রকল্প গ্রহণ করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। অন্যান্য দফতরকে একান্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ৩০ লক্ষ টাকার বেশি প্রকল্প খরচ না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। অতিমারি পরিস্থিতি কেটে গেলেও সেই বিধিনিষেধ এতদিন পর্যন্ত বহাল ছিল। সম্প্রতি অর্থসচিব মনোজ পন্থ এবিষয়ে এক নতুন নির্দেশিকা জারি করে প্রকল্প ব্যয়ের ওপর অতিমারিকালীন আরোপিত বিধিনিষেধগুলিকে অনেকাংশে শিথিল করার কথা জানিয়েছেন। এখন সুন্দরবন, পশ্চিমাঞ্চল, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন বিভাগ একটি প্রকল্পে তিন কোটি টাকা পর্যন্ত খরচ করতে পারবে বলে জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন-গোল নেই মেসির, ড্র ইন্টার মায়ামির

আবাসন, ক্ষুদ্র মাঝারি শিল্প দফতর একটি প্রকল্পে দেড় কোটি টাকা পর্যন্ত খরচ করতে পারবে। অন্যান্য বিভাগগুলি এখন ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত প্রকল্প খরচ করতে পারবে বলে জানানো হয়েছে। অর্থ দফতরের অনুমোদনসাপেক্ষে বিভিন্ন দফতরের প্রকল্পের দ্রুত বাস্তবায়নের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর আগে অতিমারির কারণে রাজ্য সরকার সরকারি দফতরে নতুন গাড়ি, অফিসের আসবাবপত্র কেনার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল, অফিস সাজানোর জন্য এবং সমস্ত অফিসারকে ইকোনমি ক্লাসে ভ্রমণ করার নির্দেশ দিয়েছিল। সেই বিধিনিষেধও প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্য থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কোভিড বিধিনিষেধ সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার করে নেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। তারপরেই সরকারি দফতরের আর্থিক বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করে নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে অর্থ দফতর।

Latest article