প্রতিবেদন : একদিকে আর্থিক মন্দা, প্রযুক্তি ব্যবহারের ওপরে অতিরিক্ত নির্ভরতা এবং নতুন করে কোনও বড় মাপের শিল্প-কারখানা গড়ে না ওঠার কারণে আগামী পাঁচ বছরে ভারতে ২২ শতাংশ মানুষ কাজ হারাবেন বলে পূর্বাভাস দিল বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম (ডব্লুইএফ)। ভারতে যেমন ২২ শতাংশ মানুষ কাজ হারাবেন, তেমনই গোটা বিশ্বে গড়ে ২৩ শতাংশ পদ বিলুপ্ত হবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের এই পূর্বাভাস কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে অশনিসঙ্কেত বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন-যোগী-পুলিশের কীর্তি! দড়ি বাঁধা বন্দিকে নিয়ে মদ কেনায় ব্যস্ত
বিশ্বের ৮০৩টি সংস্থার ওপরে বিশেষ সমীক্ষা চালিয়ে রবিবার বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের পক্ষ থেকে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিভিন্ন সংস্থায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহারের ওপরে মাত্রাতিরিক্ত ঝোঁক বিশ্বের কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে চলেছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারের ফলে শ্রমবাজারের ক্ষেত্রে ইতিবাচক ও নেতিবাচক দুই ধরনের প্রভাবই পড়বে। তবে নেতিবাচক প্রভাবের পাল্লাই হবে ভারী। কারণ মানুষের জায়গা নিয়ে নেবে রোবট।
আরও পড়ুন-আগামী তিনদিন একাধিক রাজ্যে মাঝারি ও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস
ডব্লুইএফের সমীক্ষা থেকে জানা গিয়েছে, আগামী পাঁচ বছরে অর্থাৎ ২০২৭ সালের মধ্যে বিশ্বে নতুন করে ৬ কোটি ৯০ লক্ষ নতুন পদ তৈরি হবে। অন্যদিকে বিলুপ্ত হবে ৮ কোটি ৩০ লক্ষ পদ। অর্থাৎ নতুন করে আরও ১ কোটি ৪০ লক্ষ চাকরি কমবে। যা বর্তমান কর্মসংস্থানের দুই শতাংশের সমান। অর্থনৈতিক বৃদ্ধির মন্থর হার ও অত্যধিক মূল্যস্ফীতির কারণেই চাকরিতে ছাঁটাইয়ের পরিমাণ বাড়বে। মূলত যাঁরা করণিক হিসাবে কাজ করেন এবং প্রশাসনিক ক্ষেত্রে কর্মরতদের ওপরেই নেমে আসবে শাস্তির খাঁড়া।