সংবাদদাতা, মন্দারমণি : উপকূল সুরক্ষাবিধি অমান্য, বেআইনি নির্মাণ ও প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র না থাকায় মন্দারমণি উপকূলের ৫০টি হোটেল বন্ধ করার নির্দেশ দিল রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। এই হোটেলগুলো ব্যবহৃত জল পরিশোধন না করে সৈকতে দূষণ ছড়াচ্ছে বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, দৈনিক ব্যবহৃত জল পরিশোধনের জন্য হোটেলগুলিতে ইপিপি ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট থাকা বাধ্যতামূলক। এই ৫০টি হোটেলে যা নেই। অনুমোদনপত্রও ছিল না হোটেলগুলির (Mandarmoni)। দূষণ পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে গত সেপ্টেম্বর মাসেই হোটেলগুলিকে শোকজ নোটিশ দিয়েছিল পর্ষদ। হোটেলগুলি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তার জবাব দেয়নি। তাতেই পর্ষদের এমন কড়া পদক্ষেপ। গত সপ্তাহেই হোটেলগুলিকে বন্ধের নোটিশ পাঠানো হয়েছে। মান্দারমণি উপকূল থানা এলাকার এই ৫০টি হোটেলের বিরুদ্ধে সাতদিনের মধ্যে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। এ ব্যাপারে কোনও নোটিশ হাতে পাননি বলে জানিয়েছেন মন্দারমণি (Mandarmoni) কোস্টাল থানার ওসি অনুষ্কা মাইতি। মন্তব্য এড়িয়েছেন রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের হলদিয়া আঞ্চলিক অফিসের আধিকারিক প্রসূন মণ্ডল। তবে দূষণের প্রশ্নে পর্যটকদের একটা বড় অংশ পর্ষদের এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। খুশি পরিবেশবিদরা এমনকী মৎস্যজীবীরাও। পূর্ব মেদিনীপুরের মৎস্যজীবী নেতা দেবাশিস শ্যামল বলেন, ‘আমরা অনেক দিন ধরে অভিযোগ করছি। এর সঙ্গে হাজার হাজার মৎস্যজীবীর জীবন-জীবিকা জড়িত রয়েছে। তাই পর্ষদের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছি।’ মন্দারমণি বিচ হোটেলিয়ার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক দেবদুলাল দাস মহাপাত্র বলেন, ‘মানবিক দৃষ্টিতে যাতে ব্যাপারটা দেখা হয়, সে-ব্যাপারে সংস্থাগতভাবে আবেদন জানাব সরকারের কাছে।’