প্রতিবেদন : দোল উৎসবের আগে মুক্তির সুবাতাস। রাজ্যের বিভিন্ন সংশোধনাগারের আবাসিক ১৪৫ জন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তকে মুক্তি দিল রাজ্য সরকার। তাঁদের মধ্যে ১০ জন মহিলা। ২০১১-তে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ক্ষমতায় আসার পর এ পর্যন্ত ৫৭৪ জন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৩৩ জন মহিলা বন্দি। সরকারি প্রেস বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ২০১৬ সাল বাদে সব বছরই বন্দিদের মুক্তি দিয়েছে বর্তমান সরকার। তার মধ্যে এবছরই সবচেয়ে বেশি, ১৩৫ জনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। ২০১২-তে মুক্তি দেওয়া হয় ১৩১ জনকে।
আরও পড়ুন-পাচার হওয়ার পথে হাওড়ায় বাজেয়াপ্ত সিহর্স
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত বলতে আজীবন জেল জীবন বোঝায়। কিন্তু ১৪ বছর জেলে কাটানোর পর মুক্তি দেওয়ার বিধানও আছে। সরকারের একটি কমিটি জেলে বন্দির আচরণ, শরীর-স্বাস্থ্য, বয়স এবং জেলে থাকার মেয়াদ বিবেচনা করে মুক্তি দেওয়ায় বিষয়ে সুপারিশ করে থাকে। সেই সুপারিশের ভিত্তিতে কারা ও স্বরাষ্ট্র দফতর সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের মুক্তির বিষয়ে আরও একটি বিষয় বিবেচনা করা হয় পুলিশ রিপোর্টের ভিত্তিতে। খতিয়ে দেখা হয় বন্দি ছাড়া পাওয়ার পর ফের অপরাধ করতে পারেন কি না। এছাড়া দেখা হয় সমাজ তাঁকে গ্রহণ করবে কি না, তিনি কারও দ্বারা আক্রান্ত হতে পারেন কি না। বিভিন্ন সময় সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের মুক্তি দিতে সুপারিশ করে। আদালতের বক্তব্য, কারাগার এখন হল সংশোধানাগার। যে আসামিরা শুধরে গিয়েছেন, তাঁদের আমৃত্যু আটকে রাখা অমানবিক। আদালতের এই পর্যবেক্ষণকে বিবেচনায় রেখে সব রাজ্য সরকারই যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের মুক্তি দিয়ে থাকে।