চোপড়ার শোকার্ত পরিবারের পাশে রাজ্য

বিএসএফের গাফলিতে চোপড়ায় মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে চার শিশুর। শোকার্ত পরিবারগুলির পাশে সবসময় রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।

Must read

সংবাদদাতা, রায়গঞ্জ : বিএসএফের গাফলিতে চোপড়ায় মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে চার শিশুর। শোকার্ত পরিবারগুলির পাশে সবসময় রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। দেখা মেলেনি বিজেপির। কেন্দ্রও চুপ। মানবিক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওই পরিবারগুলিকে ২ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। ২৪ ঘণ্টারও আগে পরিবারের সদস্যদের হাতে চেক তুলে দিল উত্তর দিনাজপুর জেলা প্রশাসন। এদিন জেলাশাসক সুরেন্দ্রকুমার মিনা প্রত্যেক পরিবারের হাতে রাজ্য সরকারের আর্থিক সাহায্য তুলে দেন। এদিন জেলাশাসকের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন এডিএম পঞ্চায়েত অভিষেক চৌরাশিয়া, এসডিও মহঃ আব্দুল শাহিদ, বিধায়ক হামেদুল রহমান, জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি কানাইয়ালাল প্রমুখ। জেলাশাসক সুরেন্দ্রকুমার মিনা জানান, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে জেলাপ্রশাসন পরিবারপিছু ২ লক্ষ টাকার চেক তুলে দিয়েছে। এই সাহায্য পেয়ে কিছুটা হলেও উপকৃত হবে দরিদ্র পরিবারগুলি। উল্লখ্য, চোপড়ার চেতনাগছ এলাকায় বিএসএফের গাফিলতিতে শিশুমৃত্যুর ঘটনার পর থেকেই তৃণমূল কংগ্রেস পাশে ছিল এই পরিবারগুলির। মৃত শিশুদের অসহায় পরিবারগুলোকে প্রাথমিকভাবে তিন লক্ষ টাকা দেওয়া হয় তৃণমূল কংগ্রেস দলের পক্ষ থেকে। আসেন রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের প্রতিনিধি দল। তৃণমূল কংগ্রেসের ১২ সদস্যের এক প্রতিনিধিদল ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের দাবিতে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে।
তৃণমূল নেতৃত্ব চোপড়ায় শিশুমৃত্যুর ঘটনার পর থেকেই গ্রামবাসীদের পাশে নিয়ে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন শুরু করে। তৃণমূল কংগ্রেসের লাগাতার আন্দোলনের চাপে পড়ে চোপড়ায় আসেন রাজ্যপাল। এক লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেন পরিবারগুলিকে। রাজ্যপালকে সামনে পেয়ে বিএসএফের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন দলের নেতারা। চোপড়ার চেতনাগছের সাধারণ মানুষের ক্ষোভের কথা শুনে রাজ্যপাল ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন। দলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, হতদরিদ্র পরিবারগুলির শিশুদের প্রাণ ফেরানো সম্ভব নয়। রাজ্য সরকারের এই মানবিক সাহায্যে কিছুটা হলেও উপকৃত হবে। পরিবারগুলির মধ্যে একজন বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন। সেইক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রীর আর্থিক সাহায্যে ঘুরে দাঁড়াবে পরিবার। পাশাপাশি ঘটনার তদন্ত চলছে বলেও জানান তিনি।

Latest article