স্পেনে (Spain) থাকাকালীন হোয়াটসঅ্যাপ বার্তায় সুরুচি সংঘের (Suruchi Sangha) দুর্গাপুজোর থিম শুনেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তারপর ১ ঘণ্টা ৫৭ মিনিট সময় নিয়ে সেখান বসেই গান লিখে, সুর দিয়ে, নিজে গেয়ে পাঠান তিনি। মহালয়ার দিন মুখ্যমন্ত্রী পুজো উদ্বোধন করেন। ভার্চুয়াল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সুরুচি সংঘের থিম সংয়ের নেপথ্য ঘটনা প্রকাশ্যে আনেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।
আরও পড়ুন-শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারিতে আসছে নতুন অতিথি
বাংলার লোকশিল্প–হস্তশিল্প–কুটিরশিল্প নিয়েই এবার তৈরি হয়েছে সুরুচি সংঘের মণ্ডপ। সেটা দেখতে চান মুখ্যমন্ত্রী। এই বছর বাংলার নানা জেলার লোকশিল্প, হস্তশিল্পের মধ্যে যে বৈচিত্র আছে সেটা এখানে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। তিনমাস ধরে কাজ করেছেন গ্রামবাংলার গুণী শিল্পীরা। বাঁশ–বেত, গুলঞ্চ লতা, কাপড়–সুতো দিয়ে তৈরি হয়েছে গ্রামের ঢ্যাপা পুতুল প্রতিমা। বাঁকুড়ার পাঁচমুড়ার টেরাকোটা ঘোড়া, বর্ধমানের কাঠের পুতুল, বীরভূমের চদর বদর শিল্প থাকছে। মণ্ডপ তৈরী হয়েছে পুরুলিয়ার আউশ ধানের শীষ, সবং গ্রামের খাগড়াকাঠি, উত্তর ২৪ পরগনার মাছ ধরার পলো দিয়ে। দেওয়ালে ভিতরে শোলা ও লতার নানা কাজ রয়েছে। মাতৃপ্রতিমা তাম্রবর্ণের সনাতনী রূপ । কাপড় কেটে তৈরি নানা রঙের পটচিত্র, পুরুলিয়ার জুন ঘাসে বোনা ঝাড়বাতি এবং ঝাড়গ্রামের পাঁচি গামছার শিল্প মানুষের মন ছুঁয়ে যাবে।
আরও পড়ুন-ভূমিকম্পে কাঁপল ফরিদাবাদ, অনুভূত হল দিল্লি-এনসিআরএও
অরূপ বিশ্বাসকে এই মণ্ডপ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান ‘শহরে দুর্গাপুজো দেখতে আসা বিদেশি পর্যটক এবং ইউনেস্কোর প্রতিনিধিরা এলে এই তালপাতার পাখায় হাওয়া দিতে হবে। মাটির ভাঁড়ে চা খাওয়াবে। বাইরের পুতুলগুলি এবং প্রতিমা সংরক্ষণ করবে। পুজো হয়ে গেলে আমায় দুটো পাখা দিয়ে যাবে।’
আরও পড়ুন-মালদহের ঘটনায় বিজেপির এক্সের পোস্টে সরব শশী পাঁজা
প্রসঙ্গত, সুরুচির থিম সং এবার ‘মা’। তোর একই অঙ্গে এত রূপ’ গানের কথা ও সুর দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন অরূপ বিশ্বাস বলেন, ‘আপনার সশরীর উপস্থিতি ছাড়া সুরুচির পুজো হয় না’। মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস দিয়ে বলেন, ‘ভাবিস না, ঠিক দেখা হবে কার্নিভালে।’