প্রতিবেদন : সরকারি সংস্থার গুদামে গম ও চালের মজুত পাঁচ বছরের সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে। ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার (এফসিআই) তথ্য অনুসারে, ১ অক্টোবর পর্যন্ত সরকারি গুদামে গম এবং চালের মোট মজুতের পরিমাণ ছিল ৫১১.৪ লক্ষ টন। যা ২০১৭ সালের পর ওই একই তারিখের জন্য সর্বনিম্ন। ২০২১ এর ১ অক্টোবর মজুতের পরিমাণ ছিল ৮১৬ লক্ষ টন। এফসিআইয়ের গুদামে মজুত কমে যাওয়া যথেষ্টই উদ্বেগের বিষয়। প্রশ্ন হল, মজুত কমে যাওয়ার কারণ কী?
আরও পড়ুন-মন্দার কবলে মার্কিন অর্থনীতি, সেপ্টেম্বরেও মূল্যবৃদ্ধি অব্যাহত
জানা গিয়েছে, গণবণ্টন ব্যবস্থার বাইরে থাকা শস্য এবং পণ্যের খুচরো মূল্যবৃদ্ধি সেপ্টেম্বরে মাসে ভোক্তা মূল্যসূচক (সিপিআই) বছরে ১১.৫৩ শতাংশ বেড়ে যাওয়ার কারণেই মজুত কমেছে৷ মূল্যবৃদ্ধির প্রেক্ষিতে এফসিআইয়ের মজুত কমে যাওয়া একটি উদ্বেগের বিষয়। বিশেষ করে গমের ক্ষেত্রে। তাই বাজারে গম এবং আটার জন্য বার্ষিক খুচরো মূল্যস্ফীতি সেপ্টেম্বরে সর্বকালের সর্বোচ্চ ১৭.৪১ শতাংশে পৌঁছেছে। যা আগের আট মাসে ছিল যথাক্রমে ১৫.৭২ শতাংশ, ১১.৭৩ শতাংশ, ১০.০৬ শতাংশ, ৯.৪৫ শতাংশ, ৯.৫৯ শতাংশ, ৭.৭৭ শতাংশ, ৫.৫৭ শতাংশ এবং ৫.১০ শতাংশ।
আরও পড়ুন-যাদবপুরের ৪২ বিজ্ঞানীর বিশ্ব স্বীকৃতি
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখনই গমের দাম কমার কোনও সম্ভাবনা নেই। কারণ কৃষকরা এখনও গম বপন করেননি। ১৫ মার্চের পরেই নতুন গম বাজারে আসবে। ১ অক্টোবর দেশে গমের মজুত ছিল ২২৭.৫ লক্ষ টন। যা শুধু পাঁচ বছরে সর্বনিম্ন নয়, সংশ্লিষ্ট তারিখের জন্য ২০৫.২ লক্ষ টনের নির্দিষ্ট ন্যূনতম মজুতের থেকে সামান্য বেশি। তবে চালের মজুত প্রয়োজনীয় মাত্রার প্রায় ২.৮ গুণ ছিল।