দেবর্ষি মজুমদার, রামপুরহাট: ‘‘তুমি হবে রাজার মা। রানি হতে গেলে সবার সহযোগিতা লাগে। কিন্তু রাজার মা হতে গেলে যোগ্যতা লাগে। আজ মা নেই। ছ’মাস হল মারা গেছেন। কথাগুলো ছিল সত্যি।” রামপুরহাটের দশ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা শ্রাবণী মণ্ডল। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তথা রামপুরহাটের কৃতী ছাত্র বিশাখ মণ্ডলের (Bishakh Mondal) মা শ্রাবণী মণ্ডল অনুভবী হয়েই কথাগুলো বলছিলেন। তিন বছরের শিশুকে নিয়ে মুর্শিদাবাদের এক অখ্যাত গ্রাম থেকে চলে আসেন তিনি। তারপর শুরু মা ও ছেলের লড়াই। পাশে ছিলেন বাপের বাড়ির লোকজন আর স্বামী। স্বামী বীরেন মণ্ডল অবশ্য মুর্শিদাবাদের সুখী গ্রামে নিজের বাড়িতে থেকে চাষবাস করতেন। শ্রাবণী মণ্ডল বলেন, অনেক সময় শিক্ষকরা ছাত্রকে চিনতে ভুল করলেও মা ভুল করে না। আমি জানতাম, বিশাখ (Bishakh Mondal) কৃতকার্য হবেই। রামপুরহাটে জয়েন্টের কোচিং সেরকম নেই। তাই দুর্গাপুর গেছি। সেখানে রুম ভাড়া নিয়ে দু’দিন থেকে রামপুরহাট ফিরে সোমবারে ডিউটি ধরেছি। ছেলেকেও সামলাতে হয়েছে টিউশন। বিশাখ ছোট থেকেই শান্ত। যা বলতাম তাই শুনত। মায়ের ব্যপারে খুবই যত্নশীল। পড়াশোনা, আঁকা ও সংগীতে প্রথম হত। বিশাখ মণ্ডল জিতেন্দ্রলাল উচ্চ বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তি হয়। মাধ্যমিকে র্যাঙ্ক করতে না পারার দুঃখ ছিল। পাশাপাশি উচ্চমাধ্যমিকেও দশের মধ্যে আসতে না পারলেও দ্বাদশ স্থান ছিল।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পদ্মাসেতু বাংলাদেশের মানুষের অহঙ্কার, বললেন হাসিনা