নাজির হোসেন লস্কর: শেষ হয়েছে গঙ্গাসাগর মেলা (Gangasagar Mela)৷ এবারের গঙ্গাসাগর পুণ্যার্থীদের আগমনের সংখ্যায় সর্বকালীন রেকর্ড গড়েছে৷ যার একমাত্র কারণ, মা–মাটি–মানুষের সরকার আসার পর ধীরে ধীরে গঙ্গাসাগর মেলাকে (Gangasagar Mela) সর্বাঙ্গীণ করে তুলেছে৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই তীর্থযাত্রার মিথ তৈরি করে দিয়েছেন— সব তীর্থ একবার, গঙ্গাসাগর বারবার৷ সাগরতট কার্যত উপচে পড়ে এ বছর৷ সমাগম হয়েছিল ১ কোটি ১০ লক্ষ তীর্থযাত্রী৷ মেলাকে ঘিরে প্রশাসনিক স্তরে প্রায় ৩ মাস আগে থেকে প্রস্তুতি শুরু করে দেয় বিভিন্ন দফতর৷ যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর৷ ২০২৪–এর গঙ্গাসাগর মেলাকে ঘিরে খরচ করেছে প্রায় ৭০ কোটি টাকা৷ এই টাকা মেলাপ্রাঙ্গন, লট-৮, নামখানা, কচুবেড়িয়া, চেমাগুড়ি ও বেণুবন পয়েন্ট–সহ বিভিন্ন ধরনের প্রয়োজনীয় পরিকাঠামোমূলক কাজে খরচ করা হয়েছে বলে মেলা শেষে জানিয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন৷ পুলিশ কর্মী, সরকারি কর্মকর্তা ও এনজিওদের থাকার জন্য ১৫২৪টি অস্থায়ী হোগলার কাঠামো নির্মাণ করা হয়েছিল৷ নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে অস্থায়ী তাঁবুর হোগলা, খড়, বাঁশ, কাপড় ইত্যাদি দাহ্য পদার্থকে অগ্নি নিরোধক দ্রবণের সাহায্যে অদাহ্য করে কাজে লাগানো হয়, যাতে আগুন ছড়াতে না পারে। পুরো মেলা মাঠ ও সমুদ্র সৈকতে বিদ্যুতায়ন, আলোকসজ্জা, সৌন্দর্যায়ন আলো ও এলইডি অ্যান্টি ফগ লাইট ব্যবস্থা করেছিল এই দফতর৷ প্লাস্টিকমুক্ত মেলার লক্ষ্যে বোতল ক্রাশার মেশিনও ব্যবহার করা হয়েছে। মেলায় ১১ হাজার ৩৩৩টি শৌচালয়, ২৯০টি ইউরিনালের পাশাপাশি ডায়মন্ড হারবার রোড ও সিরাকোল মোড় থেকে কুলপি বাইপাস রোড পর্যন্ত ৮ টি বায়োটয়লেটেরও ব্যবস্থা করেছিল পিএইচই। ৩৫ লক্ষ পানীয় জলের পাউচ এবং ১ লক্ষের মতো প্রাণ ধারা জলের বোতল বিতরণ করা হয়েছে। মোট ৬৯.৩০ কোটি টাকা খরচে এবারের গঙ্গাসাগর মেলাকে রঙিন করে তুলেছিল জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর৷ পূর্ত এবং জনস্বাস্থ্য কারিগরি মন্ত্রী পুলক রায়ের কথায়, মেলার রূপরেখা তৈরি হয় মুখ্যমন্ত্রীর দেখানো পথেই। এবারেও তাঁর নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করে আমরা লক্ষ লক্ষ তীর্থযাত্রীর জন্য ব্যবস্থা করেছিলাম পরিশ্রুত পানীয় জল। বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে তাঁদের স্বাস্থ্য- সুরক্ষায়।