মণীশ কীর্তনিয়া, পুরী: বুধবার নবরাত্রি পুজোর সূচনার দিনই হয়ে গেল জগন্নাথ দেবের বিশেষ এক ধরনের অঙ্গসজ্জা। পুরীর পান্ডাদের ভাষায় যাকে বলে ‘শ্রীশ্রীজগনাথ মহাপ্রভুর অঙ্গরাগ সজ্জা’। মহাপ্রভুর এই সাজের জন্য বিকেল পাঁচটার পর চার ঘণ্টা জগন্নাথদেবের (Lord Jagannath) দর্শন করা যায় না। সারা বছর ধরে মহাপ্রভু ও বলভদ্র-সুভদ্রার নানাবিধ অঙ্গসজ্জা হয়। তবে এক্ষেত্রে বিষয়টি স্বতন্ত্র। বুধবার জগন্নাথদেবের যে অঙ্গসজ্জা হল তা শুধু মুখমণ্ডলের। চার ঘণ্টা ধরে শৃঙ্গার পান্ডাদের হাতে প্রভু সাজেন। কয়েকজন মিলে অতি যত্নে মহাপ্রভুকে বিশেষ কালো এবং লাল রং দিয়ে সাজান। শৃঙ্গার পান্ডা শঙ্খমিত্র সিংহার জানালেন, মহাপ্রভুর শৃঙ্গার বড় সাধনার কাজ। বিন্দুমাত্র ভুলচুক হয়ে প্রভুর সাজ খারাপ হলে মহাপ্রভু কুপিত হন। তখন পাপ লাগবে আমাদের। তাই খুব সাবধানে এ কাজ করতে হয়। জগন্নাথদেবের (Lord Jagannath) শৃঙ্গার করা সকলের কাজ নয়। গোটা বিশ্ব থেকে এই শ্রীক্ষেত্র পুরীতে পুণ্যার্থীরা আসেন মহাপ্রভুর দর্শনে। তবে বছরের বিশেষ বিশেষ দিনে মন্দিরে ভিড় হয় সাংঘাতিক। এই মুহূর্তে গোটা পুরীতে হোটেলগুলিতে ঠাঁই নাই অবস্থা। ট্রেনেও টিকিট শেষ। এই অবস্থায় জগন্নাথদেবেই এখানকার সকলের ভরসা। পুরীর হোটেল ব্যবসায়ী থেকে গাড়ির চালক কিংবা মন্দিরের পুরোহিত, সকলেই বললেন, সারা বছর কোটি কোটি ভক্ত এখানে আসেন। জগন্নাথ সকলের জন্য। আর বাঙালিরা হল পুরীর ব্যবসায়ীদের কাছে লক্ষ্মী। পুরীতে আসা ৯৫ শতাংশ মানুষ বাংলার। তাঁদের ছাড়া পুরীর চলে না। আর তাই বোধ হয় পুরীকে বলা যেতেই পারে বাঙালির দ্বিতীয় ঘর। ‘জয় জগন্নাথ’ বলে বেরিয়ে পড়লেই হল। বাড়তি পাওনা সমুদ্রস্নান।
আরও পড়ুন: তৈরি হবে ‘নতুন পুরী’: গেস্ট হাউসের জমি পরিদর্শনের পর মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রীর