শীত শুনলেই মনে ভেসে ওঠে বিভিন্ন ধরনের ফল, টাটকা সবজি, পিকনিক অথবা জল-জঙ্গল বা পাহাড়ে কয়েকটা চমৎকার দিন কাটিয়ে আসা। নেই ঘাম, নেই গরমের কষ্ট, নেই হঠাৎ-বৃষ্টির ভ্রুকুটি। ফলে কাজকর্মে নেই উদ্যমের অভাব। কিন্তু, শীত মানেই সব ভালর বার্তা মজুত থাকে না তাতে। শীত-পোশাকের জৌলুস, আর ঘুরে-বেড়ানোর সুখের আড়ালে ঝিম মেরে বসে থাকে অসুখ। ঝরাপাতার হিমেল বার্তায় শুষ্ক ত্বকের মতো সামান্য সমস্যা থেকে প্রবল শ্বাসকষ্টের মতো অসামান্য সমস্যাও শামিল থাকে। বয়স্ক আর শিশুদের যেন বেশি করেই কাবু করে শীত (Winter)।
সমস্যা শীত (Winter) মানেই অতিরিক্ত পেশি সংকোচন, সে শ্বাসনালির পেশি হোক বা রক্তনালির, অস্থি-মাংসপেশি হোক বা হৃৎপিণ্ডের— সবারই অতিরিক্ত সংকোচন হয়। এর ফলে যাঁদের হাঁপানি (asthma বা COPD) আছে, তাঁদের এই সময় বেড়ে যায় শ্বাসকষ্ট। বিশেষ করে ভোররাতে প্রবল কাশি এবং শ্বাসকষ্ট শুরু হয় ঘুমের মধ্যে, যেটা জীবনঘাতীও হতে পারে।
সমাধান এই সময় ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নিয়মিত ইনহেলার জাতীয় ওষুধ ব্যবহার করা উচিত। খুব বেশি যখন শ্বাসকষ্ট, তখন ইনহেলার টানাও অশীতিপর বা নবতিপরদের পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়ে। ইনহেলার থেকে কোনও ওষুধই তখন পৌঁছয় না শ্বাসনালিতে। তাই এই রকম সময়ে নেবুলাইজার নামক মেশিনের সাহায্যে ওষুধ দেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।
হাঁপানির একটা বড় কারণ এলার্জি। শীতে (Winter) বাতাসে বিভিন্ন ফুলের রেণু উড়ে বেড়ায়, যেগুলো হাঁপানির অন্যতম কারণ। তাই ইনহেলারের সঙ্গেই এলার্জি নিয়ন্ত্রণে রাখার ওষুধও খাওয়া দরকার। প্রয়োজন, রাস্তাঘাটে বেরোলে অবশ্যই নাক-মুখ ঢেকে রাখা। মাঙ্কি ক্যাপ, মাফলার, গগলস— এগুলোর ব্যবহারে আমাদের যতই অনীহা থাকুক, শেষ অবধি ইনফ্লুয়েঞ্জা, মিজিলস, মাম্পস এগুলোকে তফাতে রাখতে এদের ভূমিকা অনস্বীকার্য।
যাঁদের পূর্ববর্তী বছরগুলোতে প্রবল শ্বাসকষ্টের ঘটনা ঘটেছে, এমনকী হাসপাতালে ভর্তির ঘটনাও ঘটেছে, তাঁদের জন্য বাড়িতে অক্সিজেন সিলিন্ডার বা অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর মজুত রাখা অবশ্য-কর্তব্য। পাহাড়ে বা দূরে বেড়াতে গেলে সঙ্গে থাকুক অক্সিজেনের মিনি ক্যানিস্টার।
হাঁপানির রোগীদের জীবনশৈলীতে নিয়মিত প্রাণায়ম, ইন্সপিরেটরি স্পাইরোমিটারে বল তোলার ব্যায়াম, ইত্যাদি রাখা প্রয়োজন। ভোরে এবং বিকেল পাঁচটার পর ছাদে, মাঠে বা রাস্তায় হাঁটতে যাওয়া একেবারেই উচিত নয়। গায়ে শিশির লাগানোও অনুচিত।
সমস্যা এমন রোগী আমি মাঝেমধ্যেই পাই যাঁরা গলা, বুক, গায়ে, রাশ (rash) নিয়ে আসেন। অনেকের মুখ-চোখ ফুলে গিয়ে শ্বাসকষ্টও দেখা দেয়। একটু অনুসন্ধান করলেই জানা যায়, আলমারিতে তুলে রাখা গত বছরের শীতের (Winter) পোশাক বের করে সদ্য গায়ে চাপিয়েছেন। তার অব্যবহিত পর থেকেই সারা শরীর চুলকাতে লেগেছে এবং ক্রমশ বেরোতে শুরু করেছে রাশ (rash)। উলের পোশাকের মধ্যে বাসা বাঁধে মাইটস। যাঁদের মাইটস-এ এলার্জি, তাঁদের এমন হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
সমাধান দ্রুত এর চিকিৎসা শুরু না করলে অনেক সময়েই শ্বাসনালির পথ বন্ধ হয়ে আপৎকালীন পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।
সমস্যা রক্তনালির পেশি সংকোচনে বৃদ্ধি পেতে পারে রক্তচাপ। যাঁরা ইতিমধ্যেই উচ্চরক্তচাপের সমস্যায় ভুগছেন বা তার জন্য ওষুধ খাচ্ছেন, তাঁরা শীতের মরশুমের শুরুতেই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ব্লাডপ্রেশার মাপিয়ে প্রেশারের ওষুধের সঠিক ডোজ জেনে নিন। তারপরেও প্রত্যেক সপ্তাহে অন্তত একবার করে রক্তচাপ পরীক্ষা করান, শীতের পুরো সময়টা। কাঁচা নুন, নুন আছে এমন জিনিস, নুন দিয়ে শশা, পেয়ারা এগুলো খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। যাঁরা নিয়মিত ইনহেলার বা নেবুলাইজার ব্যবহার করেন, তাঁদের ইনহেলারের কিছু ওষুধের প্রভাবে হৃৎস্পন্দন বৃদ্ধি পেতে পারে, সঙ্গে বাড়তে পারে রক্তচাপ।
সমাধান এইসব রোগীর ক্ষেত্রেও চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সঠিক প্রেশারের ওষুধের ডোজ নেওয়া প্রয়োজন। হার্টরেট নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে এমন ওষুধের প্রয়োগেও ভাল ফল পাওয়া যায়। তবে এই রোগীদের ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে, যেন বিটা-ব্লকার জাতীয় ওষুধ যেমন মেটোপ্রোলল, এটেনোলল জাতীয় ওষুধ ব্যবহার থেকে বিরত থাকা প্রয়োজন। কারণ এগুলি শ্বাসকষ্ট আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। টেলমিসারটান, এনালাপ্রিল জাতীয় ওষুধ শুকনো কাশির কারণ হয়ে উঠতে পারে। তাই এই ওষুধগুলোও হাঁপানি রোগীর ক্ষেত্রে ভেবেচিন্তে ব্যবহার করতে হবে।
সমস্যা শীতে হালকা সর্দিকাশি, জ্বরের অধ্যায় শেষ হলেই অনেকের মুখে ঘা, জ্বরঠুঁটো, জ্বিহ্বা, গালের ভিতর ও মুখের তালুর ছিলা ওঠা দেখা যায়। খাবার ঝাল লাগা, দাঁতে ব্যথা, কামড় খাওয়া সঙ্গ দেয় এদের। সহজে সারতে চায় না এগুলো। যাঁরা ইনহেলার নেন, তাঁদের মুখের ভিতর ওষুধের কিছুটা থেকে গিয়ে সাদা সাদা ঘা হতে পারে।
সমাধান ঠান্ডা লাগলে ওষুধের দোকান থেকে চেয়ে একটা-দুটো ওষুধ খাওয়া একদম বর্জন করা দরকার। এতে সাময়িক কিছুটা উপশম হলেও জীবাণু সম্পূর্ণ নির্মূল হয় না। ওষুধের প্রভাব কমলেই তারা আবার মাথা তোলে। কখনও সেটা মাড়ি ফুলে, দাঁতে ব্যথার আকারে, কখনও আবার কানে ব্যথা বা ওটাইটিস মিডিয়ার আকারে। কখনও মুখে ঘা হিসেবে, আবার কখনও টনসিল ফুলে গিয়ে। কখনও সাইনাসে জমা হয়ে নাক বন্ধ আর প্রবল মাথাযন্ত্রণার আকারেও ফিরে আসতে পারে সাইনুসাইটিস রূপে। এই বিপদ থেকে বাঁচার উপায়, চিকিৎসকের পরামর্শে সঠিক সময় ধরে নির্দিষ্ট ওষুধগুলো খাওয়া, বিটাডিন বা হেকসিডিন মাউথ ওয়াশে নিয়মিত কুলি এবং গার্গল করা। মাল্টিভিটামিন এবং ল্যাক্টোব্যাসিলাস জাতীয় ওষুধে কাজ হয় বেশ ভাল। Borax পাউডার, গ্লিসারিন মুখের ঘায়ে উপকারী। ইনহেলারের থেকে যাঁদের মুখে ঘা হয়েছে, তাঁদের জন্য ক্যানডিড মাউথ পেইন্ট কার্যকরী। প্রত্যেকবার ইনহেলার নেওয়ার পরে কুলি করে নিলে, মুখে ঘা হয় না।
সমস্যা অস্থি-মাংসপেশির সংকোচনের ফলে শীতে জয়েন্ট স্টিফনেস বা সোজা কথায় বয়স্ক মানুষদের গাঁটে-গাঁটে ব্যথা হয়। চলতে-ফিরতে সমস্যা হয়। জয়েন্টগুলো ফুলে শক্ত হয়ে যায়। বিশেষ করে সকালের দিকে বিছানা থেকে নামাটাই একটা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। তাছাড়া যাঁরা মদ্যপানে অভ্যস্ত, তাঁরা শীতে গা গরম রাখতে অতিরিক্ত মদ্যপান করে ফেলেন অনেক সময়। ফলে হঠাৎ ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে প্রবল গাঁটে-গাঁটে ব্যথা হতে পারে।
সমাধান হালকা এবং নির্দিষ্ট ব্যায়ামের মাধ্যমে পেশি ও জয়েন্টগুলোকে সচল রাখা, ম্যাসাজ নেওয়া, মাংসপেশিতে গরম সেঁক নেওয়া, নিয়মিত ঘণ্টাখানেক হাঁটা (তবে যাঁদের হাঁপানি বা অন্য কোনও মানা আছে, তাঁরা ভোরে বা বিকেলে ছাদে বা রাস্তায় হাঁটতে বেরোবেন না), এইভাবে কিছুটা হলেও এই সমস্যা কম রাখা যায়। আর যাঁদের গাউটের সমস্যা আছে, অ্যালকোহল তাঁদের জন্য, নৈব নৈব চ…
সমস্যা এই সময় শ্বাসনালির অসুখের ভাইরাসের প্রকোপ বেড়ে যায় খুব। ইনফ্লুয়েঞ্জা, মিজিলস, মামপস, চিকেন পক্স ইত্যাদির প্রকোপ বাড়তে থাকে। শিশু ও বয়স্কদের নিউমোনিয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
সমাধান সাবধানতা এবং প্রতিরোধকই সেরা প্রতিরোধ। অর্থাৎ, খুব ভোরে বা রাতে যখন হিম পড়ে, শিশির পড়ে, মাথা এবং শরীর সঠিকভাবে ঢেকে তবেই বাইরে বেরোনো উচিত। যেসব বাচ্চা বা বয়স্কদের ইতিমধ্যেই হাঁপানির সমস্যা হয়েছে, অবশ্যই তাঁদের নিউমোনিয়া, মিজিলস, মামপস এবং ইনফ্লুয়েঞ্জার ভ্যাকসিনগুলো দিয়ে দেওয়া প্রয়োজন। চিকেন পক্সের ভ্যাকসিনও দুটো ডোজ সময়ে নেওয়া থাকলে এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে।
এছাড়া, যেসব শিশু বা বয়স্কদের হাঁপানি আছে, তাঁদের একটু সর্দি-কাশি হলেই ইনহেলারের ডোজ বাড়িয়ে দেওয়া উচিত। সঙ্গে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে প্রয়োজনে অ্যান্টিবায়োটিকের কোর্স করে নেওয়া দরকার।
সমস্যা কানে ব্যথা বা ওটাইটিস মিডিয়া হওয়া শীতের একটি অন্যতম রোগ। প্রধানত হালকা সর্দি-কাশি, গলাব্যথায় কোনও ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ না খেয়ে, দোকান থেকে ওষুধ এনে এক-দু’দিন খাওয়ার ফলাফল হল, গলা বা নাকের জীবাণু মধ্যকর্ণে পৌঁছে সেখানে ইনফেকশন ও প্রদাহ তৈরি করে।
আরও পড়ুন: শীতে সুস্থ থাকুক ত্বক সঙ্গে মনও
সমাধান এই অবস্থায় ডাক্তারের পরামর্শ না নিলে, কানের পর্দা ফেটে পুঁজরস বাইরে গড়িয়ে আসতে থাকে। সাধারণ মানুষ একে বলে কান দিয়ে সর্দি গড়ানো। এই রোগ যাতে না হয়, তার জন্য, একটু সর্দি-কাশি বা জ্বর হলেই ডাক্তার দেখিয়ে উপযুক্ত ওষুধ নির্দিষ্ট কোর্সে খেয়ে রোগ নিরাময় করা দরকার। তাহলে আর কানে ইনফেকশন পৌঁছতে পারবে না।
সমস্যা শীতে (Winter) ডায়েরিয়া হওয়া একটা বড় সমস্যা। শিশুদের ডায়েরিয়া হয় রোটা ভাইরাস নামের এক জীবাণু থেকে। অনেক সময় এই ডায়েরিয়া মৃত্যুর কারণও হয়ে উঠতে পারে। প্রাপ্তবয়স্কদেরও শীতে ডায়েরিয়া হয়। তার প্রধান কারণ, শীতের মরশুমি সবজি— যেমন, বাঁধাকপি, ফুলকপি, বিভিন্ন শাক অনেকেরই সহ্য হয় না, বিশেষ করে যাঁদের ইরিটেবল বাওয়েল আছে, তাঁদের এগুলো খেলেই ডায়েরিয়া শুরু হয়।
সমাধান ডায়েরিয়ার বিরুদ্ধে শিশুদের জন্য প্রতিষেধক আছে, যা নবজাতককে তিনটি ডোজ দিলে এই ডায়েরিয়ার প্রকোপ কমানো যায়।
প্রাপ্তবয়স্কদের ডায়েরিয়া যাতে না হয় সেক্ষেত্রে ওই ধরনের খাবার এড়িয়ে চলাই শ্রেয়। ডায়েরিয়া হলে সঠিক পরিমাণে ওআরএস খাওয়া প্রয়োজন।
সমস্যা গলাব্যথা, স্বরভঙ্গ, মাড়ি ফুলে ব্যথা— এই ধরনের উপসর্গ শীতের অন্যতম সমস্যা।
সমাধান এগুলো প্রতিরোধের উপায় বাইরে বেরোলে মাথা, কান এবং গলা খুব ভাল করে ঢেকে বেরোনো। সকাল এবং রাত্রে হালকা গরম জলে নুন ফেলে দিয়ে গার্গল করে কুলি করে ফেলে দেওয়া। নুন দিয়ে দিনে অন্তত একবার দাঁত মাজা (যাঁদের উচ্চরক্তচাপ আছে, তাঁরা নুন ব্যবহার করবেন না)। প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া, লবঙ্গ এবং যষ্টিমধু মুখে রাখা।
সমস্যা একজিমা, সোরিয়াসিস— যদিও এই দুটি চর্মরোগের সঙ্গে শীতের (Winter) সরাসরি কোনও যোগাযোগ নেই, কিন্তু, শীত পড়লেই অনেকের ক্ষেত্রে এই রোগের জ্বালাতন বৃদ্ধি পায়। শীত মানেই শুষ্কতা, আর শুষ্ক ত্বক মানেই একজিমা বা সোরিয়াসিস নেয় প্রবল আকার। খুব বেশি চুলকে ফেললেই চামড়া ছিঁড়ে রস গড়াতে শুরু করে, ঘা হয়ে কালো হয়ে যায়।
সমাধান এই সমস্যার প্রধান সমাধান, ত্বক সর্বদা আর্দ্র রাখতে হবে। ত্বক আর্দ্র থাকলেই চুলকানি কম থাকবে, আর তাহলেই ঘা হবে না। একজিমা বা সোরিয়াসিসের গ্রোথ বা বৃদ্ধির প্রধান কারণ ত্বকের উত্তেজনা। সেটা শুষ্কতা থেকে হতে পারে বা নখের আঘাতেও হতে পারে। এটা আটকানোর উপায় এমোলিন বা ময়েশ্চারাইজারের প্রয়োগ। কোনও রকমের ল্যানোলিন, স্যালিসাইলিক অ্যাসিড, রেটিনোইক অ্যাসিড জাতীয় জিনিস ময়েশ্চারাইজারে থাকলে সেটা ব্যবহার করা চলবে না। ১৫ এসপিএফের উপরের মানযুক্ত সানস্ক্রিন লোশন ব্যবহার করা যায়। স্নান খুব হালকা গরম জলে করা যেতে পারে। কিন্তু, জল খুব বেশি গরম হলে ত্বকের ক্ষতি হয়। খুব বেশি সময় ধরে স্নান একেবারেই অনুচিত। ময়েশ্চারাইজার দিনে চারবারের বেশি প্রয়োগ করা অনুচিত। স্নানের তিন মিনিটের মধ্যেই ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিলে সবথেকে ভাল। ধুলো-রোদ্দুর থেকে যতটা দূরে থাকা যায় ততই মঙ্গল। সাবানের ক্ষেত্রে কেবলমাত্র ক্ষারবিহীন হালকা গ্লিসারিন জাতীয় সাবান ব্যবহার করা উচিত। কোনওরকমের স্ক্রাবার দিয়ে চামড়া পরিষ্কার করা মানে সর্বনাশ করা। এটা থেকে একেবারেই বিরত থাকতে হবে।
শীতের (Winter) সময়, এই ছোট ছোট টিপসগুলো মেনে চলতে পারলে, এই চমৎকার ঋতুটি হয়ে উঠতে পারে দারুণ উপভোগ্য এবং কর্মপোযোগী।