প্রতিবেদন : সাংসদ-বিধায়কদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। বৃহস্পতিবার শীর্ষ আদালত বলেছে, সাজাপ্রাপ্ত সাংসদ-বিধায়কদের বিরুদ্ধে হওয়া মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির বিষয়ে রাজ্যগুলির হাইকোর্টকে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করতে হবে। পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টের মন্তব্য, আজীবন নির্বাচন থেকে নির্বাসিত করার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট নির্দেশিকা দেওয়া সম্ভব নয়।
আরও পড়ুন-সংসদের শীতকালীন অধিবেশন শুরু ৪ ডিসেম্বর
ফৌজদারি মামলায় দোষী সাব্যস্ত রাজনীতিবিদদের নির্বাচনে লড়ার অধিকার বাতিল সংক্রান্ত শুনানিতে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, শীর্ষ আদালতের পক্ষে সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন তৈরি করা সম্ভব নয়। বিষয়টি হাইকোর্ট দেখছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, সাংসদ, বিধায়কদের বিরুদ্ধে মামলার বিষয়ে আর বিলম্ব নয়। কারণ সাংসদ এবং বিধায়কদের বিরুদ্ধে ৫,১৭৫ টি মামলা এখনও মুলতুবি রয়েছে, যার মধ্যে ৪০ শতাংশ বা ২,১১৬টি মামলা অন্তত পাঁচ বছর ধরে মুলতুবি রয়েছে।
আরও পড়ুন-আইটি সেলের বিজয়া সম্মিলনী
প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জে বি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, সুপ্রিম কোর্টের পক্ষে সব রাজ্যে প্রযোজ্য অভিন্ন নির্দেশিকা নির্ধারণ করা কঠিন এবং তা কার্যকর করতে নজরদারির জন্য এই ধরনের পদক্ষেপগুলি হাইকোর্টের উপরেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে বেঞ্চ বিচারাধীন মামলাগুলি দ্রুত মীমাংসা যাতে হয় তা নিরীক্ষণের জন্য বেশ কিছু নির্দেশও জারি করেছে।
আরও পড়ুন-কালীপুজোয় বারাসত-মধ্যমগ্রাম জুড়ে নিরাপত্তা বলয়
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিরা সাংসদ, বিধায়কদের বিরুদ্ধে বিচারাধীন ফৌজদারি মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির বিষয় নিরীক্ষণের জন্য একটি স্বতঃপ্রণোদিত মামলা নথিভুক্ত করবেন। এই স্বতঃপ্রণোদিত মামলার শুনানি হতে পারে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে একটি বিশেষ বেঞ্চ বা তাঁর দ্বারা নির্ধারিত বেঞ্চে। সেক্ষেত্রে স্বতঃপ্রণোদিত মামলার শুনানিকারী বিশেষ বেঞ্চ প্রয়োজন অনুযায়ী নিয়মিত বিরতিতে বিষয়টি তালিকাভুক্ত করতে পারে। মামলার দ্রুত ও কার্যকর নিষ্পত্তির জন্য হাইকোর্ট প্রয়োজনীয় আদেশ ও নির্দেশনা জারি করতে পারে। বিশেষ বেঞ্চ আদালতকে সহায়তা করার জন্য অ্যাডভোকেট জেনারেল বা প্রসিকিউটরকে আহ্বান করার কথা বিবেচনা করতে পারে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, মনোনীত আদালত অগ্রাধিকার দেবে মৃত্যু বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের শাস্তি হতে পারে এমন ফৌজদারি মামলা, ৫ বছর বা তার বেশি কারাদণ্ড হতে পারে এমন
মামলার ক্ষেত্রে।