রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদের (WBSEDCL) এলাকায় ত্রৈমাসিক বিলের পরিবর্তে মাসিক বিলের ব্যবস্থা চালু করা নিয়ে গ্রাহকদের মধ্যে দ্বিমত রয়েছে। সেই কারণে এখনই সব জায়গায় চালু করা হচ্ছে না মাসিক বিলের ব্যবস্থা জানিয়ে দিলেন বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস (Minister Aroop Biswas)।
বিধানসভার প্রশ্নোত্তর পর্বে বিধায়কদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে বিদ্যুৎমন্ত্রী জানান, বিদ্যুৎ পর্ষদ (WBSEDCL) নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় গ্রাহকদের মধ্যে সমীক্ষা করে দেখা গিয়েছে বেশিরভাগ মানুষ তিনমাস অন্তর বিদ্যুৎ বিল দেওয়ার পক্ষপাতি। তবুও নিউটাউন-সহ রাজ্যের কোনও কোনও এলাকায় পরীক্ষামূলক প্রতি মাসের বিলের ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। তা কতটা জনপ্রিয় হচ্ছে তা খতিয়ে দেখে তার পরেই এব্যপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। অন্য দিকে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ৭৩ লক্ষ ৪০ হাজার মানুষকে হাসির আলো প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে বার্ষিক আয় কম এমন পরিবারগুলিকে নিখরচায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়।
আরও পড়ুন- ধূপগুড়ি উপনির্বাচন: সৌজন্যের রাজনীতি দেখাল তৃণমূল, প্রয়াত বিজেপি বিধায়কের বাড়িতে ঘাসফুল-প্রার্থী
বিদ্যুৎমন্ত্রী দাবি করেছেন রাজ্যে এমন কোনও গ্রাম নেই যেখানে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। বিদ্যুতের জন্য আবেদন করলে বিদ্যুৎ দফতরের অধীনস্ত সংস্থাগুলি ৭ দিনের মধ্যে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়। এদিকে স্মার্ট সিটি প্রকল্পের আওতায় রাজ্যজুড়ে ৩৫ লক্ষ ‘স্মার্ট মিটার’ বসানো হবে। ধাপে ধাপে গোটা রাজ্যেই ওই মিটার বসানো হবে। এতে বিদ্যুৎ দফতরের কাজে সুবিধা হবে। বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীদের আর বাড়ি বাড়ি গিয়ে মিটার দেখে আসতে হবে না। স্মার্ট মিটার-এর মাধ্যমে এ বার থেকে অফিসে বসেই তাঁরা গ্রাহকের বিদ্যুতের ব্যয় সংক্রান্ত তথ্য জানতে পারবেন। কেন্দ্রীয় সরকার এই প্রকল্পের জন্য ৬০ শতাংশ অর্থ দেবে, রাজ্য সরকারের তরফে ব্যয় করা হবে আরও ৪০ শতাংশ অর্থ। মোট ১১ কোটি ৮৯ লক্ষ টাকা এই প্রকল্পে খরচ হবে।