নবনীতা মণ্ডল, নয়াদিল্লি : রেলের সম্পদ লিজ নিতে এগিয়ে আসেনি কোনও সংস্থা। ফলে সদ্য সমাপ্ত আর্থিক বছরে রেলের বিলগ্নিকরণের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যর্থ মোদি সরকার। ভারতীয় রেলের ১৭ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি বিলগ্নীকরণের যে লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার, সেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়ার পরেও ফের আগামী অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা আরও বাড়িয়ে ৫৭ হাজার কোটি টাকা করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, রেলের সম্পত্তির মানিটাইজেশন নিয়ে আগ্রহ দেখায়নি কোনও বেসরকারি সংস্থা। যার ফলে বিলগ্নির লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যর্থ কেন্দ্রীয় সরকার। যদিও মন্ত্রকের সাফাই, করোনা অতিমারির কারণে বিভিন্ন ক্ষেত্রের লেনেদেনে যে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে, তার ফলস্বরূপ এই ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন-রেলের বাধায় বন্ধ হল কাজ
তবে বিরোধীদের পক্ষ থেকে প্রশ্ন উঠেছে, যেখানে বিগত আর্থিক বছরেই ১৭ হাজার কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা যায়নি, সেখানে কীভাবে আগামী অর্থবছরে গতবারের তিনগুণের বেশি অঙ্কের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা সম্ভব? যথারীতি এই প্রশ্নের সন্তোষজনক জবাব নেই কেন্দ্রের কাছে। তবে এই কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে লক্ষ্যমাত্রা পূরণের রোডম্যাপ তৈরির উদ্দেশে শুক্রবার বৈঠক করবেন ক্যাবিনেট সচিব রাজীব গৌবা। ২০২২-’২৩ অর্থবর্ষে কীভাবে কাজ হবে, তা নিয়েও আলোচনা হবে। বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা টেলিকম, বিদ্যুৎ, সড়ক পরিবহণ-সহ অন্যান্য মন্ত্রকের প্রতিনিধিদের। ভারতীয় রেলের মানিটাইজেশন পদ্ধতির মাধ্যমে ২০২৫ সালের মধ্যে ১.৫ লক্ষ কোটি টাকার বিলগ্নীকরণ করার লক্ষ্যমাত্রা রেখেছে মোদি সরকার। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রেলে বিলগ্নীকরণের লক্ষ্য পূরণে ঘাটতি থাকলেও তা পূরণ করে দিয়েছে সড়ক, বিদ্যুৎ, কয়লা, খনির মতো অন্যান্য ক্ষেত্র।
আরও পড়ুন-শিল্প-বরফ দিয়ে পানীয় বন্ধে অভিযানে পুরসভা
ন্যাশনাল মানিটাইজেশন পাইপলাইনে উল্লিখিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশের মোট ৬ লক্ষ কোটি টাকার সম্পদের বিলগ্নীকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদি সরকার। তার মধ্যে ভারতীয় রেলের সামনে দেড় লক্ষ কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে। নীতি আয়োগের সিইও অমিতাভ কান্ত গত মাসে জানান, উপযুক্ত পরিকাঠামো না থাকার কারণেই ভারতীয় রেলের লিজ নিতে আগ্রহী হচ্ছে না কোনও বেসরকারি সংস্থাই।