প্রখর রৌদ্রে ঝলসে যাচ্ছে চা-পাতা, সঙ্কটে চাষিরা

এপ্রিলের শেষ সপ্তাহ এবং মে‌ মাসের শুরু থেকেই সাধারণত চা-চাষের গুরুত্বপূর্ণ সময়। এই সময়েই মূলত সেকেন্ড ফ্লাশ চা-পাতা উৎপাদন হয়।

Must read

আর্থিকা দত্ত, জলপাইগুড়ি: আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় ঝলসে যাচ্ছে বাগানের কাঁচা চা-পাতা। ফলে ব্যাপক প্রভাব পড়ছে উত্তরবঙ্গের চা-শিল্পে। বিশেষ করে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন জলপাইগুড়ি-সহ ডুয়ার্সের অসংখ্য ক্ষুদ্র চা-চাষিরা। প্রতিকূল আবহাওয়া ও অতিরিক্ত গরমের জন্য গত কয়েকদিন ধরে কাঁচা চা-পাতার সবুজ রং কালচে হয়ে যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে চা-শিল্পে অর্থনৈতিক মন্দা ও খারাপ প্রভাবের আশঙ্কা করছেন চা-চাষি সংগঠনের সদস্যরা। এপ্রিলের শেষ সপ্তাহ এবং মে‌ মাসের শুরু থেকেই সাধারণত চা-চাষের গুরুত্বপূর্ণ সময়। এই সময়েই মূলত সেকেন্ড ফ্লাশ চা-পাতা উৎপাদন হয়।

আরও পড়ুন-মাধ্যমিকে ৮০ শতাংশ পেল দৃষ্টিহীন আফরিদা

এই পাতা সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি করার সুযোগ পান চা-চাষিরা। বছরের মোট উৎপাদনের প্রায় ৮-১০ শতাংশ চা-পাতা উৎপাদন হয় মে মাসে। যদিও বর্তমানের শুষ্ক আবহাওয়া ও সূর্যের প্রখর তাপে নতুন পাতা গজানোয় প্রধান অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে জানান জলপাইগুড়ি জেলা ক্ষুদ্র চা-চাষি সংগঠনের সম্পাদক বিজয়গোপাল চক্রবর্তী। তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে চা-গাছকে রক্ষা করাই বড় চিন্তা। রোদের তাপে যেমন চা-পাতা ঝলসে যাচ্ছে। পাশাপাশি রেড স্পাইডার, থ্রিভেস ও গ্রিন ফ্লাই নামক শোষক পোকা নরম পাতাগুলোকে নষ্ট করে দিচ্ছে। কৃত্রিম জলসেচ ও কীটনাশক দিয়েও পোকা দমন করা যাচ্ছে না। এর পাশাপাশি জলপাইগুড়ি বনবিভাগের বিভিন্ন জঙ্গলে হাতির আক্রমণের হাত থেকে রক্ষা পেতে শ্রমিক মহল্লায় চা লাগানোর হিড়িক পড়েছে। কিন্তু গরমে চা-পাতা ঝলসে যেতে তাঁরা বেশ নিরাশ।

Latest article