সংবাদদাতা, কাটোয়া : পূর্বস্থলী রেলের মাঠে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডাকে এনে সভা করেছিল বিজেপি, রবিবার ছুটির দিনে। লোকজন না হওয়ায় আক্ষেপ করেন দলেরই স্থানীয় নেতা-কর্মীরা। সেই সভার ৪৮ ঘণ্টা বাদে একই জায়গায় তৃণমূলের সভায় জনজোয়ার। বসা দূরে থাক, লোকে দাঁড়ানোর জায়গাও পাননি। সভা থেকেই পঞ্চায়েত ভোট ও ২০২৪-এর লোকসভা ভোটের সুর বেঁধে দিলেন বক্তারা। বক্তা ছিলেন সর্বভারতীয় মহিলা তৃণমূল সভাপতি সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার, রাজ্য মুখপাত্র দেবাংশু ভট্টাচার্য, মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়, জেলা পরিষদ সভাধিপতি শম্পা ধাড়া, সহ-সভাধিপতি দেবু টুডুরা।
আরও পড়ুন-সাগরদিঘিতে রুটমার্চে আধাসামরিক বাহিনী
সিপিএমের শাসন আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনের তুলনা করে দেবাংশুর যুক্তি, ‘‘সিপিএমের সময়ে মোড়ে মোড়ে লাশ পড়ে থাকত। এখন থাকে না। বাম জমানায় সন্ধে হলেই বাড়িতে বাড়িতে হ্যারিকেন মজুত রাখতে হত। এখন বাংলা থেকে লোডশেডিং শব্দটাই মুছে গিয়েছে। ৩৪ বছরে একটাও সরকারি প্রকল্পের নাম কেউ করতে পারবেন, যা থেকে মানুষ সুবিধে পেয়েছে? পারবেন না। বর্ষায় গ্রামে ঢোকা যেত না। এখন তরতরিয়ে গাড়ি চলে।’’ বিজেপিকেও তুলোধোনা করেন দেবাংশু। কাকলি সিপিএমের ৩৪ বছরের ‘অপশাসনের’ প্রসঙ্গ টেনে হুঁশিয়ারি দেন, ‘‘বাংলাকে শেষ করে দিয়েছেন। এখন বাংলা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এগিয়েই চলেছে। এখন আর ফণা তুলবেন না। আমরা ফণা নামিয়ে দিতে জানি। রাজ্যের উন্নয়ন কেউই রুখতে পারবে না।’’