সংবাদদাতা, ডায়মন্ড হারবার : একের পর এক প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে গোটা অগাস্ট মাস সমুদ্রে ট্রলার ভাসাতে পারেননি সুন্দরবনের কয়েক হাজার ট্রলার মালিক। লোকসানের বহর বাড়ছিল। গত সপ্তাহ থেকে আবহাওয়া ঠিক হওয়ায় পরে নতুন করে বঙ্গোপসাগরে পাড়ি দেয় ট্রলারগুলি। এই মুহূর্তে গভীর সমুদ্রে ভাল পরিমাণ ইলিশের দেখা মিলেছে বলে দাবি মৎস্যজীবী সংগঠনের। গত তিনদিনে প্রায় ৩০০ টনের বেশি ইলিশ বাজারে চলে এসেছে। প্রচুর পরিমাণে ইলিশভর্তি ট্রলার সমুদ্র থেকে কাকদ্বীপ ও নামখানা ঘাটে ফিরতে শুরু করেছে।
আরও পড়ুন-শীঘ্রই আসছে পদ্মার ইলিশ
আবহাওয়া ভাল থাকলে আগামী কয়েকদিনে বাজারের চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত পরিমাণ ইলিশ মিলবে। ফলে লাভের আশায় বুক বাঁধছেন সুন্দরবনের মৎস্যজীবীরা। একের পর এক দুর্যোগ কাটিয়ে উঠে নতুন করে বঙ্গোপসাগরের ট্রলার ভাসিয়ে ইলিশের ঝাঁক দেখা মেলায় লোকসানের ভাগ কিছুটা কমবে বলে মনে করছে মৎস্যজীবীদের বড় অংশ। দুর্যোগ কাটার পরেই সপ্তাহখানেক আগে সুন্দরবনের কাকদ্বীপ, নামখানা, ফ্রেজারগঞ্জ, সাগর, রায়দিঘি ও পাথরপ্রতিমার বিভিন্ন ঘাট থেকে গভীর সমুদ্রে পাড়ি দিয়েছিল দুর্যোগের জেরে ফিরে আসা সমস্ত ট্রলার। গভীর সমুদ্রে পৌঁছে জাল
আরও পড়ুন-অনুভবে কুমোরটুলির প্রতিমাদর্শন দৃষ্টিহীনদের
ফেলার তিনদিনের মধ্যে অধিকাংশ ট্রলারের মৎস্যজীবীদের জালে ধরা পড়ে রুপোলি শস্য। সমুদ্র থেকে ইলিশ ধরে ঘাটে ফিরছে আরও বহু ট্রলার। ইলিশের জোগান বাড়লেই দাম নাগালের মধ্যে চলে আসবে বলে মত মৎস্যজীবী সংগঠনের কর্মকর্তাদের। কাকদ্বীপ ফিশারম্যান ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিজন মাইতি জানান, ‘‘দীর্ঘ এক মাসের খরা কাটিয়ে জালে ধরা পড়েছে ভাল পরিমাণ ইলিশ। সমুদ্রের আবহাওয়াও অনুকূল। আশা করছি এবার ইলিশের খরা কাটতে চলেছে। ইলিশের আমদানি বাড়লে দাম কমবে। এবার মধ্যবিত্তের সাধ্যের মধ্যে ঘোরাফেরা করবে ইলিশের দাম।’’