বাঘমুণ্ডির যুগলপ্রসাদ দুখু মাজির গাছ-পরিবার

শুধু গাছ পোঁতাই নয়, সেই গাছের রক্ষণাবেক্ষণ করা, নিয়মিত জল দেওয়া, বেড়া দেওয়া ইত্যাদিও করেন। পরম মমতায় বড় করে তোলেন।

Must read

প্রতিবেদন : বিভূতিভূষণের আরণ্যক উপন্যাসের যুগলপ্রসাদকে মনে আছে? আমর্ম প্রকৃতিপ্রেমী যুগলপ্রসাদের নেশা ছিল গাছ পোঁতা। তেমনই এক বাস্তব চরিত্রকে পাওয়া গেল রুখাসুখা পুরুলিয়ায়। নাম দুখু মাজি। বাঘমুণ্ডির সিন্দ্রি গ্রামে বাড়ি। বছর ৬৫-র দুখুর দুই সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে অভাবের সংসার। জীবনধারণের জন্য প্রতিদিন লড়াই চালাতে হয়। তার মধ্যেও প্রকৃতিপ্রেম একটুও কমে না। যুবক বয়সে একবার গাছের গুরুত্বের কথা শুনেছিলেন, মনে গেঁথে গিয়েছিল সেই কথা। সেই থেকেই গাছ পোঁতার নেশা পেয়ে বসে।

আরও পড়ুন-বছর শুরুতেই বন্ধ রড-তৈরি কারখানা

শুধু গাছ পোঁতাই নয়, সেই গাছের রক্ষণাবেক্ষণ করা, নিয়মিত জল দেওয়া, বেড়া দেওয়া ইত্যাদিও করেন। পরম মমতায় বড় করে তোলেন। গাছগুলো যেন তারই সন্তান। ওঁর এই বৃক্ষপ্রেম দেখে সবাই ওঁকে ডাকেন গাছবাবা বলে। শহরে গাছ কেটে নগরায়ণের কথা শুনে দুঃখ পান। বলেন, শিক্ষিত মানুষ গাছের গুরুত্ব বোঝে না, এটাই দুঃখের। সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পে কিছুটা সুরাহা হয়েছে, তবু তাঁকে প্রতিদিন লড়াই চালাতে হয়। তার মধ্যেও বৃক্ষপ্রেম একটুও কমে না। বললেন, সবাই যদি একটু সচেতন হত, প্রকৃতি কত সুন্দর হত। পরিবেশদূষণ কমত, মানুষ অনেক ভালভাবে বাঁচতে পারত।

Latest article