সংবাদদাতা, নন্দীগ্রাম : পঞ্চায়েত ভোট যত এগিয়ে আসছে ততই পায়ের নিচে মাটি হারানোর ভয়ে বাংলাকে অশান্ত করার অপচেষ্টা শুরু করেছে বিজেপি। শুক্রবার গভীররাতে নন্দীগ্রামে তাণ্ডব চালাল বিজেপি। আজ, ১ জানুয়ারি তৃণমূল কংগ্রেসের জন্মদিন। তাই ৩১ ডিসেম্বর রাত ১২টার পরে রাজ্যের বহু জায়গায় দলের জন্মদিন উদযাপন ও নানা অনুষ্ঠান করেন কর্মী-সমর্থকেরা। তার আগে শুক্রবার গভীররাতে নন্দীগ্রাম ১ ব্লকের গোকুলনগরে অধিকারী পাড়ায় শহিদবেদি ভাঙচুরের পাশাপাশি তৃণমূলের দলীয় পতাকা ছিঁড়ে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পদ্ম শিবিরের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন-বর্ষশেষ ও বর্ষবরণে জমজমাট পর্যটন কেন্দ্র, সজাগ প্রশাসন, দিঘা, মন্দারমণিতে রেকর্ড ভিড়
এই ঘটনায় গোটা নন্দীগ্রাম জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচন ক্রমশ এগিয়ে আসছে। তার ওপর নন্দীগ্রামের বহু আদি বিজেপি নেতা তৃণমূল কংগ্রেসে ইতিমধ্যে যোগদান করেছেন। আবার নন্দীগ্রাম-সহ গোটা পূর্ব মেদিনীপুরে বহু সমবায় সমিতির নির্বাচনে সম্প্রতি গোহারা হেরেছে বিজেপি। বাম ও কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করেও হালে পানি পায়নি। জেলা জুড়ে তাদের পায়ের নিচের মাটি ক্রমশ সরে যাচ্ছে। একথা বিলক্ষণ বুঝেছে গেরুয়া শিবির। তাই পঞ্চায়েতের আগে নন্দীগ্রামে সন্ত্রাসের আবহ ও দাঙ্গার পরিস্থিতি তৈরি করতে চাইছে তারা। সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতেই নন্দীগ্রামে শুক্রবার রাতে শহিদবেদি-সহ তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় পতাকার উপর আক্রোশ দেখায় বিজেপি।
আরও পড়ুন-টাকিতে পর্যটকের ঢল
নন্দীগ্রাম ১ ব্লকের তৃণমূল সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গ বলেন, ‘শুক্রবার গভীররাতে অধিকারী পাড়ায় যে শহিদবেদি আছে, তার সিমেন্টের ঘেরা অংশ ভাঙচুর করে দিয়ে যায় বিজেপির গুন্ডাবাহিনী। শুধু তা-ই নয়, শহিদবেদির পাশে দলের যে পতাকা লাগানো ছিল, সেগুলোও ছিঁড়ে মাটিতে ফেলে দিয়ে গিয়েছে দুষ্কৃতীরা। বিজেপি শহিদদের সম্মান দিতে জানে না। নন্দীগ্রামের জমিরক্ষার আন্দোলন বিজেপি করেনি। তাই ওদের শহিদবেদির প্রতি কোনও আবেগ নেই।’