প্রতিবেদন : বিধানসভা নির্বাচনে জয় হাতছাড়া হয়েছিল তাঁর। প্রথমবার লড়ে পুরভোটে জিতলেন কোচবিহারের প্রবীণ নেতা রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, পুরবোর্ডও দখল করল তৃণমূল কংগ্রেস। কোচবিহার পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ৭৩১ ভোটে জয়ী হলেন তিনি। ইংরেজবাজারে জিতলেন কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরিও। বিধানসভা ভোটে হার মানতে হয়েছিল তাঁকে। মালদহের এই দাপুটে নেতা ইংরেজবাজার পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ড থেকে নিজে জিতলেন, তৃণমূল কংগ্রেসকেও পুরবোর্ডের ক্ষমতায় আনতে বড় দায়িত্ব পালন করলেন। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার বাড়ির উঠোনে দাঁড়িয়ে বিজেপিকে অপ্রাসঙ্গিক করে দেওয়ার কৃতিত্ব পাওনা তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) তরুণ মুখ সুপ্রকাশ গিরির। তাঁর পিতা রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরি। সুপ্রকাশ নিজে যেমন জিতেছেন, তেমনই নিশ্চিত করেছেন কাঁথি পুরসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) বিজয়রথ। জিতেছেন মুকুল রায়ের পুত্র শুভ্রাংশু রায়। কাঁচরাপাড়ায় বিরোধীদের জনসমর্থনের হাওয়ায় উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। শুভ্রাংশুও ৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে বড় ব্যবধানে জিতেছেন। তাঁর মন্তব্য, ‘দিদির হাত মাথার উপর না-থাকলে কেউ জিততে পারে না! বিজেপিতে যাওয়া ছিল বড় ভুল।’ তৃণমূল কংগ্রেসের তরুণ মুখ, ছাত্র আন্দোলন থেকে উঠে আসা জয়া দত্ত জিতেছেন অশোকনগর পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডে। তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক মদন মিত্রের পুত্রবধূ মেঘনা প্রথমবার ভোটে দাঁড়িয়েই জিতেছেন কামারহাটি পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে। গণনাশেষে মেঘনা জয় পান ৪,৫৭০ ভোটে। জনপ্রিয় ‘মা’ ধারাবাহিকের ‘ঝিলিক’ শ্রীতমা ভট্টাচার্য প্রথমবার ভোটে দাঁড়িয়েই জিতেছেন কামারহাটি পুরসভার ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে। তাঁর কথায়, নেত্রীর উন্নয়নের মডেল অনুসরণ করেই এলাকায় কাজ করব।