নয়াদিল্লি : গুজরাতের কেভাডিয়াতে পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরীকে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ ডাঃ শান্তনু সেন। এই বৈঠকে পেট্রোল-ডিজেলের আকাশছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্রের নির্বিকার মনোভাবের সমালোচনায় সরব হন অন্যান্য বিরোধী সাংসদরাও। শস্য থেকে জৈব জ্বালানি তৈরি নিয়ে আলোচনা হয়েছে বৃহস্পতিবারের বৈঠকে।
আরও পড়ুন-প্রাথমিকে শুরু নিয়োগ, ডাক ১৮৯ জনকে
জৈব জ্বালানির কাজ শুরুর আগে প্রয়োজনীয় গবেষণা হয়েছে কি না সেই প্রশ্নের যথাযথ জবাব দিতে পারেননি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। সাংসদ শান্তনু সেনের প্রশ্ন ছিল শস্য থেকে জৈব জ্বালানি তৈরি নিয়ে কৃষকদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে কি না। তিনি বলেন, জৈব জ্বালানির জন্য একটি নির্দিষ্ট শস্য উপাদনে জোর দিতে গিয়ে চাল, গমের মতো প্রয়োজনীয় শস্যের ঘাটতি হবে কি না তা আগে থেকেই ভেবে দেখা উচিত। জৈব জ্বালানি বাজারে এলে পেট্রোল-ডিজেলের মতো জ্বালানির দাম কমবে কি না, উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে তা জানতে চান শান্তনু সেন। বৈঠকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পুরী এইসব জরুরি কোনও প্রশ্নেরই উত্তর দিতে পারেননি।
আরও পড়ুন-বিজেপির পর্যবেক্ষক দল আসলে রাজনৈতিক পর্যটক, বলল তৃণমূল
গুজরাতে অনুষ্ঠিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ জানতে চান, আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম কমার পরেও কেন সেই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে দেশবাসী? বিগত বছরগুলিতে কেন্দ্রীয় সরকার পেট্রোল-ডিজেল বাবদ কত টাকা আমদানি করেছে তাও জানতে চান তৃণমূল সাংসদ। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর প্রশ্নে শান্তনু সেন জানান, বাংলায় ইতিমধ্যেই এক টাকা কর কমানো হয়েছে। কেন্দ্রের কাছে এখন রাজ্যের পাওনা ১ লক্ষ ৯৬৮ কোটি টাকা। এই বকেয়া দ্রুত মিটিয়ে দিলে বাংলার সরকার আগামী ৫ বছর রাজ্যবাসীকে নানা সুবিধা দিতে পারবে।