প্রতিবেদন : বাংলার মানুষ যে বিজেপিকে চায় না শনিবার তা আরও একবার প্রমাণিত হল। একই দিনে মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘিতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি ও কোচবিহারের দিনহাটায় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে আমজনতার বিক্ষোভের মধ্যে পড়তে হল। কার্যত গ্রামবাসীদের ঘাড়ধাক্কা খেয়েই ফিরতে হল। এই দু-প্রান্তের মানুষের পরিষ্কার বক্তব্য, বিভাজনের রাজনীতি ও বাংলার মানুষের টাকা আটকানোর কারিগরদের গ্রামে আসার দরকার নেই।
আরও পড়ুন-ওড়িশায় গাড়ি দুর্ঘটনা, বাংলার সাত শ্রমিক হত, পাশে মুখ্যমন্ত্রী
শনিবার নিজেদের গুলিয়ে দেওয়ার রাজনীতি অব্যাহত রেখে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ বলেছেন, তাঁরা বাংলাভাগ চান না। কিন্তু প্রশ্ন হল, বঙ্গের কিছু বিজেপি নেতা যখন তারস্বরে বিধানসভার ভিতরে ও বাইরে বাংলাভাগের কথা বলেন তখন দিলীপ ঘোষরা চুপ করে থাকেন কেন? জনবিচ্ছিন্ন বিমল গুরুং-এর সঙ্গে বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্ত কী এমন গোপন বৈঠক করেন যে তারপর বিমল গুরুং-ভোটে হারা অজয় এডওয়ার্ড-স্বার্থান্বেষী বিনয় তামাংরা পাহাড় অশান্ত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়! বন্ধ ডাকে। তখন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব চুপ থাকেন কেন? তা হলে মুখে এক আর কাজে আর-এক? এই দ্বিচারিতা আর কতদিন? প্রশ্ন বাংলার মানুষের।
আরও পড়ুন-বিজেপি-বিরোধী ঐক্য নিয়ে আলোচনায় উদ্ধব-কেজরি
কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপে ৫০-৬০টা গাড়ি হাঁকিয়ে ভোটের আগে সাগরদিঘিতে গিয়ে গন্ডগোল পাকিয়েছেন সুকান্ত মজুমদার৷ তাঁর কনভয়ের নিচে একটি ছাগল চলে এলেও গাড়ির ভয়ঙ্কর গতিতে ছাগলকে পিষে দিয়েই সুকান্তর কনভয় চলে যায়। গ্রামবাসীরা এই ঔদ্ধত্য মেনে নেননি। তাঁরা কনভয় আটকে তাঁদের ক্ষোভ জানিয়েছেন। আবার দিনহাটায় প্রায় ৫০টিরও বেশি গাড়ির কনভয় নিয়ে গ্রামের পথে ধুলো উড়িয়ে অকারণ রোয়াব দেখাতে গেলে গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়। আসলে এই রোয়াব দেখানো বেনিয়া পার্টির লোকজনকে যে বাংলার মানুষ মেনে নেবে না তা পরিষ্কার হয়ে গেল৷ আসলে মুখ পুড়ল বিজেপির।