প্রতিবেদন : জাপানে জন্মহার দ্রুত কমছে। জনসংখ্যা কমায় তীব্র সঙ্কটে পড়েছে জাপান। পরিস্থিতি সামাল দিতে ইতিমধ্যেই একাধিক উদ্যোগ নিয়েছে সে দেশের সরকার। জনসংখ্যার নিম্নমুখী হার প্রভাব ফেলছে সে দেশের স্থানীয় নির্বাচনেও। সম্প্রতি হয়ে যাওয়া জাপানের স্থানীয় নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার মতো লোক মিলল না। যে কারণে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই প্রার্থীরা জয়ী হলেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়।
আরও পড়ুন-অফিসারদের অনেকেই ডাকাত : কেন্দ্রীয় মন্ত্রী
গত শনিবার জাপানের নটি প্রদেশের গভর্নর, ছটি বড় শহরের মেয়র এবং ৪১টি রাজ্যের এবং ১৭টি শহরের আইনসভার সদস্য নির্বাচন ছিল। ওই নির্বাচনে জেলা স্তরে প্রায় ৪০ শতাংশ আসনে প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন। আইনসভা নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রায় ২৫ শতাংশ প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন। জাপানের স্বরাষ্ট্র ও যোগাযোগ মন্ত্রক জানিয়েছে, ৩৪৮টি নির্বাচনী জেলায় মোট প্রার্থীদের ৬০ শতাংশকে ভোটে লড়তে হয়েছে। বাকিদের কোনও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হয়নি। কারণ সংশ্লিষ্ট আসনে কোনও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিল না। ২৩ এপ্রিল জাপানের রাজধানী টোকিওর পুর বোর্ডের নির্বাচন আছে। পাশাপাশি বিভিন্ন ছোট শহর, আধা শহর ও গ্রামেও জনপ্রতিনিধিদের বেছে নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন-অন্ধকার ঘরে ইঁদুর, আরশোলার সঙ্গেই রাশিয়ায় বন্দি ছিল ইউক্রেনের ৩১টি শিশু
প্রশ্ন হল জাপানের দ্রুত জন্মহার কমছে কেন? জাপান সরকারের করা সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, জীবনযাত্রার মাত্রাতিরিক্ত ব্যয় বৃদ্ধি, থাকার মতো জায়গার অভাব, চাইল্ড কেয়ার পরিষেবার অভাব প্রভৃতি কারণে জন্মহার কমছে। আর্থিক সঙ্কটের কারণেই জাপানের তরুণ-তরুণীরা বৈবাহিক সম্পর্কে জড়াচ্ছেন না। আবার তরুণ-তরুণীদের একাংশ বৈবাহিক সম্পর্কে আবদ্ধ হলেও তাঁরা সন্তান ধারণে আগ্রহী নন। ঘটনার প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী ফুমিও ও কিশিদা বলেছেন, যে হারে জন্মহার কমছে তা জাপানের অর্থনীতির পক্ষে অত্যন্ত বিপজ্জনক।