প্রতিবেদন : হাইকোর্টের নির্দেশে স্বস্তি মিলল বেসরকারি স্কুলের পড়ুয়া এবং অভিভাবকদের। ফি বকেয়া থাকলেও স্কুলে প্রবেশাধিকার এবং ক্লাস করার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা চলবে না কোনও ছাত্রছাত্রীকে। দিতে হবে সবরকমের সুযোগসুবিধে। আটকে রাখা যাবে না মার্কশিটও। পরের শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হওয়ার সুযোগ থেকেও বঞ্চনা চলবে না। নতুন ক্লাসে যোগ দেওয়া নিশ্চিত করতে হবে। স্কুল থেকে বহিষ্কারের মতো পদক্ষেপও নিতে পারবে না স্কুল কর্তৃপক্ষ। বুধবার এ-কথা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের (Kolkata High Court) ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় এবং বিচারপতি মৌসুমি ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ ১৪৫টি বেসরকারি স্কুলের জন্য এ-বিষয়ে জারি করেছে সুনির্দিষ্ট নির্দেশিকাও। করোনাত্রাসে অনেকেই জমা দিতে পারেননি স্কুলের ফি। কিন্তু আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও অনেক পড়ুয়াকেই স্কুলে ঢোকার অনুমতি দিতে অস্বীকার করে একাধিক বেসরকারি স্কুল। এই নিয়ে হাইকোর্টে দায়ের হয় জনস্বার্থ মামলা। বুধবার বেশ কিছু অভিভাবকও দল বেঁধে হাজির হন হাইকোর্টে (Kolkata High Court)। এদিন ডিভিশন বেঞ্চের একগুচ্ছ নির্দেশিকার মধ্যে অন্যান্য উল্লেখযোগ্য বিষয়— করোনাকালে কোন পড়ুয়া কত ফি দিয়েছে তার হিসেব দিতে হবে আদালত নিযুক্ত বিশেষ আধিকারিকদের। এই সময়ের হিসেব অনুযায়ী বেতনের স্টেটমেন্ট রাখতে হবে অভিভাবকদের। রাখতে হবে শেষ টাকা দেওয়ার প্রমাণও। যারা করোনাকালে কোনও ফি দেয়নি তাদের নামও নথিভুক্ত করবে আদালত নিযুক্ত আধিকারিকরা।

