মনে রাখার মত বছর ছিল ২০২২। বিসর্জনের (Immersion) রাতে মাল নদীর হড়পা বানে জলের স্রোতে ভেসে গিয়ে মৃত্যু হয়েছিল ৮ জনের। মালবাজারের মানুষের কাছে এখনও সেটা দুঃস্বপ্নের মত। শুধু তাই নয়, প্রশাসনিক কর্তারাও এই ঘটনা নিয়ে রীতিমত আতঙ্কে রয়েছে। ঘটনার পরেই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে করা সতর্কতা জারি করা হয় ডুয়ার্সজুড়ে বেশ কিছু নদীতে। পাহাড়ি খরস্রোতা নদীগুলিতে মানুষের নামার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয় প্রশাসনের তরফে।
আরও পড়ুন-এক রাতেই সপ্তমী থেকে দশমীর মেহচণ্ডী পুজো
এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না হয় তাই এবার বিসর্জনের আগে সতর্ক প্রশাসন। নিরঞ্জনের জন্য নামতে দেওয়া হবে না কোন পুজো উদ্যোক্তা এবং দর্শনার্থীদের। ঠাকুর ভাসানের দায়িত্বে থাকবে প্রশাসনের লোকজন এবং মাল পৌরসভার কর্মীরা।
আরও পড়ুন-সংশোধনাগারে রাজ্য পুলিশের মানবিক উদ্যোগের সুফল, অপরাধ অতীত, ওদের প্রতিমা বাঙ্ময়
পরিস্থিতি সামাল দিতে মাল নদীতে ঘাট তৈরির কাজ চলছে। বোল্ডার দিয়ে নদীর পাড় বাঁধানোর কাজ করা হচ্ছে। তাছাড়া, কংক্রিট ও লোহার গ্রিল লাগানো হয়েছে। ভাসানের জন্য নদীতে না নেমে হাইড্রলার জেসিবি মেশিন ব্যবহার করা হবে। পুলিশ প্রশাসনের তরফে এই নিয়ে বেশ কয়েকবার বৈঠক করা হয়েছে। পুজো উদ্যোক্তা ও এলাকার বাসিন্দাদের নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। সতর্কতা অবলম্বন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সকলকেই।