প্রতিবেদন : পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলের মুখ বন্ধ রাখতে তাঁকে বিপুল টাকা ঘুষ দিয়েছিলেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে মার্কিন আদালত ট্রাম্পকে অভিযুক্ত করেছে। আমেরিকার ইতিহাসে এই প্রথম দেশের কোনও প্রেসিডেন্ট বা প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত হয়েছেন। তবে এই মামলা সম্পর্কে ট্রাম্প বলেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত চলছে। ২০১৪-র প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি যাতে লড়তে না পারেন তার জন্যই এই রাজনৈতিক চক্রান্ত। নির্বাচনী ময়দান থেকে তাঁকে সরিয়ে দিতে রাজনীতির সর্বোচ্চ পর্যায়ে ষড়যন্ত্রের জাল বোনা চলছে। প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট হুমকি দিয়েছেন, পরবর্তী নির্বাচন থেকে তাঁকে এভাবে দূরে রাখা যাবে না। তিনি ফের প্রেসিডেন্ট পদে লড়াই করবেন। গোটা বিশ্বে আমেরিকাকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যাওয়াই তাঁর একমাত্র লক্ষ্য।
আরও পড়ুন- বিমানকর্মীর সঙ্গে অশালীন আচরণ, গ্রেফতার সুইডিশ যাত্রী
আদালতের রায় জানার পর স্টর্মি বলেছেন, তিনি সকলকে ধন্যবাদ জানাচ্ছেন। আদালত যথাযথ সিদ্ধান্তই নিয়েছে। এই আইনি লড়াইয়ে যাঁরা তার পাশে ছিলেন তাঁদের সকলের প্রতি তিনি কৃতজ্ঞ। তবে ট্রাম্প (Donald Trump) সম্পর্কে স্টর্মি আর নতুন করে কোনও মন্তব্য করেননি। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে মার্কিন সংবাদপত্র ওয়ার্ল্ড স্ট্রিট জার্নালে এক রিপোর্টে দাবি করা হয়, ২০০৬ সালে স্টর্মির সঙ্গে যৌন সম্পর্কে জড়িয়ে ছিলেন ট্রাম্প। ২০১৬ সালে ট্রাম্প যখন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়াই করেন সে সময় স্টর্মি যাতে মুখ না খোলেন তার জন্য তাঁকে বিপুল পরিমাণ টাকা দিয়েছিলেন ট্রাম্প। নির্বাচনে জিতে সদ্য প্রেসিডেন্ট হয়েছেন ট্রাম্প। স্বাভাবিকভাবেই তিনি স্টর্মির ওই অভিযোগকে মিথ্যা বলে দাবি করেন। এরপরই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মিথ্যা কথা বলা ও হুমকি দেওয়ার কারণে মামলা করেন স্টর্মি। যদিও সেই মামলা আইনি কারণে বাতিল হয়ে যায়। তবে মামলাটি বাতিল হলেও ওই অভিযোগ নিয়ে তদন্ত শুরু করে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই। তদন্তে জানা যায়, ট্রাম্প স্টর্মিকে টাকা দিয়েছিলেন। ট্রাম্পের আইনজীবী মাইকেল কোহেন জানান তিনি তৎকালীন প্রেসিডেন্টের নির্দেশে স্টর্মিকে ওই টাকা দিয়েছিলেন। এই ঘটনায় ২০১৮-র ডিসেম্বরে কোহেনকে তিন বছরের কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার ডলার জরিমানা করা হয়েছিল। ওই মামলাতেই দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন ট্রাম্প।