প্রতিবেদন : আলিপুরদুয়ারের পর এবার বাঁকুড়া। আজ বুধবার বাঁকুড়ার ওন্দায় জনসভায় বক্তব্য রাখবেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দীর্ঘদিন পর জঙ্গলমহলে পা রাখছেন তিনি, স্বাভাবিকভাবেই এই মেগা সভাকে ঘিরে জঙ্গলমহলে দলীয় নেতা-কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে রয়েছে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা। আলিপুরদুয়ারের সভা থেকে একগুচ্ছ কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন অভিষেক। তাঁর নির্দেশে ২৪ এপ্রিল থেকে ২৫ মে পর্যন্ত চলবে কেন্দ্রের প্রতিহিংসার রাজনীতির জন্য ১০০ দিনের কাজে বঞ্চিত মানুষদের থেকে সই সহ চিঠি সংগ্রহ, যা নিয়ে তিনি দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রীর কাছে জমা দেবেন।
আরও পড়ুন-বাঁশদ্রোণীতে আগুন, ঘটনাস্থলে দুই মন্ত্রী
এরপর রাজধানীর বুকে হবে তীব্র প্রতিবাদ আন্দোলন। হবে ২ লক্ষ লোকের জমায়েত। সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় টানা জেলা সফর করছেন। প্রতিটি সভায় বুঝিয়ে দিচ্ছেন আসলে কোন পথে চলতে চায় তৃণমূল কংগ্রেস। সোমবারের ভার্চুয়াল সাংগঠনিক বৈঠকেও অবাধ ও গণতান্ত্রিক শান্তিপূর্ণ পঞ্চায়েত নির্বাচনের নিদান দিয়েছেন তিনি। জঙ্গলমহলে প্রভূত উন্নয়নের কাজ হয়েছে। দুয়ারে সরকার ক্যাম্প চলছে বুথে বুথে। তৃণমূল সরকার রয়েছে মানুষের পাশে। আগামী দিনেও থাকবে। এই ভরসা আরও একবার বাঁকুড়া-সহ জঙ্গলমহলবাসীকে দেবেন অভিষেক। একইসঙ্গে এই অঞ্চলের মানুষ ও দলের নেতা-কর্মীদের জন্য নিশ্চিতভাবেই থাকবে নয়া নির্দেশ।
আরও পড়ুন-চুনীর নামে গেট, উদ্বোধনে গাভাসকর, পয়লা বৈশাখে মোহনবাগানে উৎসব
দেশের বিরোধীদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে ব্যবহার করা হচ্ছে। নইলে কেন্দ্রীয় এজেন্সির ৯৫ শতাংশ কেস কেন বিরোধী দলের বিরুদ্ধে থাকবে! এতেই বিজেপির উদ্দেশ্য স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। বিজেপিকে তোপ মন্ত্রী শশী পাঁজার। সম্মেলনে সমবায়মন্ত্রী অরূপ রায় বলেন, বিজেপি যতই চক্রান্ত করুক, সফল হবে না। দুয়ারে সরকারের মাধ্যমে মানুষের বাড়িতে সরকারি পরিষেবা পৌঁছে গেছে। উন্নয়নকে আটকাতে পারবে না বিজেপি। ওদের এই অপচেষ্টার জবাব আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে আরও একবার পেয়ে যাবে বিজেপি। সম্মেলনে হাওড়া সদরের একাধিক বিধায়ক সহ তৃণমূল কংগ্রেসের বিভিন্ন শাখা সংগঠনের নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন-অসংগঠিত শ্রমিকদের পাশে রাজ্য
সম্মেলনের আগে কামারডাঙা থেকে তৃণমূলের হাওড়া সদর কার্যালয় পর্যন্ত একটি পদযাত্রাও হয়। কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক বলেন, অত্যাচারী শাসক হিটলারকে ’২৪ সালে যদি দিল্লি থেকে সরাতে না পারি তাহলে আমাদের জীবনে অন্ধকার নেবে আসবে। এদিন মুরারইয়ের সভায় ছিলেন পাণ্ডবেশ্বর বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ, বোলপুরের সাংসদ অসিত মাল, সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী এবং বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায়।