সংবাদদাতা, গঙ্গাসাগর : রেকর্ড ভিড় হবে আসন্ন সাগরমেলায় (Gangasagar Mela)। পুণ্যার্থীদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে জেলা প্রশাসন। পুণ্যার্থীদের ভিড় সামাল দিতে এবার আরও বেশি যাত্রীনিবাস, পানীয় জল ও শৌচালয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসন ‘ক্রাউড ম্যানেজমেন্ট’ বা ভিড় সামাল দেওয়ার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। কারণ চলতি বছরে মেলায় পুণ্যার্থীর রেকর্ড ভিড় হবে বলে অনুমান জেলা প্রশাসনের। সেজন্য সবরকম প্রস্তুতিও সেরে রাখছে জেলা প্রশাসন। এবার কুম্ভ বা অর্ধকুম্ভ না থাকায় হিন্দি বলয়ের পুণ্যার্থীদের ভিড় বাড়বে। এছাড়া বিগত দু’বছর করোনা অতিমারির জন্য আদালতের নির্দেশ মেনে মেলায় পুণ্যার্থীদের ভিড়ের রাশ টানতে হয়েছিল। কিন্তু চলতি বছরে এখন সেরকম কোনও নির্দেশিকা না থাকায় রেকর্ড ভিড় প্রত্যাশা করছে জেলা প্রশাসন। মেলামাঠের (Gangasagar Mela) প্রস্তুতি চূড়ান্ত পর্যায়ে। ইতিমধ্যে জনস্বাস্থ্য কারিগরি, পূর্ত, সেচ, পরিবহণ, সুন্দরবন উন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী ও বিভাগীয় আধিকারিকরা একাধিকবার মেলার প্রস্তুতি সরজমিনে ঘুরে দেখেছেন। জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা, অতিরিক্ত জেলাশাসক, মহকুমা শাসক ও পুলিশ সুপার একাধিকবার সমন্বয় বৈঠক করেছেন। প্রস্তুতিতে সব দপ্তরের সমন্বয়ের ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। এবারের মেলা পরিচালনার জন্য সাগতটের ভাঙন রুখে নতুন বাঁধ নির্মাণের কাজ শেষ পর্যায়ে। সেই কাজের পাশাপাশি যাত্রিনিবাস তৈরি, পানীয় জলের লাইন, অস্থায়ী শৌচাগার তৈরির কাজ চলছে জোরকরদমে। কপিলমুনি মন্দিরে পড়ছে রঙের পোঁচ। লট নম্বর আট, কচুবেড়িয়া ও চেমাগুড়িতে অস্থায়ী জেটি নির্মাণ শেষ পর্যায়ে। মেলার জন্য কাকদ্বীপ থেকে সাগরমেলার মাঠ পর্যন্ত বিভিন্ন দপ্তরের কর্মীদের ব্যস্ততা এখন তুঙ্গে। পুরো ব্যবস্থাপনার তদারকি করছেন বিডিও সুদীপ্ত মণ্ডল। তিনি জানালেন, ‘একাধিকবার সমন্বয় বৈঠক হয়েছে। মেলা পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন দপ্তরের মন্ত্রী ও আধিকারিকরা পরিদর্শন করেছেন। এবারের মেলার মূল লক্ষ্য পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা সুনিশ্চিত করা। সেজন্য সবকিছু বাড়ানো হচ্ছে। যাত্রীদের থাকার জন্য বড় বড় হ্যাঙার করা হচ্ছে। থাকছে পানীয় জল, শৌচাগারের ব্যবস্থা। পুরো মেলায় সিসিটিভি ও ড্রোনের মাধ্যমে মনিটর করা হবে।’