জঙ্গলমহল পুরুলিয়া : অনেকে চেয়েছিলেন ধামসা মাদল বাজিয়ে মিছিল করে ভোট দিতে যাবেন। নেতারা বারণ করেছেন। তবু উৎসাহে খামতি ছিল না মানুষের। গোটা জঙ্গলমহলে প্ররোচনা ছড়িয়েও উত্তেজনার বাতাবরণ তৈরি করতে পারেননি বিরোধীরা। নিরুদ্বেগে ভোট হল পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামের ৪০টি ব্লকে। বিরোধীরাও কোনও অভিযোগ জানাতে পারল না। নিশ্চিন্তে দীর্ঘ লাইন দিয়ে ভোট দিলেন মানুষ। গোটা জঙ্গলমহলে জয় হল গণতন্ত্রের।
আরও পড়ুন-কেন্দ্রের কাছে ডিজিটাল অর্থনীতির রোডম্যাপ নেই, দাবি বিরোধীদের
এদিন অযোধ্যা পাহাড় থেকে বরাবাজার, বান্দোয়ান, রানিবাঁধ, বেলপাহাড়ি, খাতড়া— সর্বত্রই সকাল থেকে ভোটের মুক্ত হাওয়া। বেলা বাড়তেই ঘরের কাজ শেষ করে মহিলারা বুথে গিয়ে লাইনে দাঁড়ান। কাকে ভোট দেবেন, প্রশ্ন করলেই সাবলীল জবাব এসেছে— আগে তো ভোটই হত। যাঁর সুশাসনে ভয়হীন পরিবেশে ভোট দিতে পারছি, তাঁর কথা ভেবে নিজেই বলুন ভোট কাকে দেওয়া উচিত! যেভাবে বুথে বুথে লাইন রয়েছে ভোট শেষ হতে মাঝরাত হবে। বিকেল তিনটে অবধি জঙ্গলমহলে গড় ভোট পড়েছে ৫৯ শতাংশ।
আরও পড়ুন-স্পিকারের নির্দেশে সঙ্কটে শিন্ডে
এদিন রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদ মন্ত্রী সন্ধ্যারানি টুডু আদিবাসী এলাকার বুথে বুথে ঘুরে পরিস্থিতি দেখেন। তিনি বলেন, জঙ্গলমহলে বিরোধীরাও জানে তৃণমূল জিতবে। তাই এখানে সংঘাতের আবহ তৈরি করেনি ওরাও। জঙ্গলমহল একটা জিনিস প্রমাণ করেছে, প্ররোচনা না থাকলে ভোটে সন্ত্রাস হয় না। বান্দোয়ানের বিধায়ক রাজীবলোচন সরেন বলেন, আমরা তো গণতন্ত্রের লড়াই চেয়েছি। জঙ্গলমহলের যা উন্নয়ন হয়েছে, মানুষ তা দেখেই ভোট দিয়েছেন।