কাবুল : ২৪ ঘণ্টা আগে নতুন সরকারের কথা ঘোষণা করেছে তালিবান। নতুন সরকারের মন্ত্রিসভায় ৩৩ জন সদস্যের নামও ঘোষণা করা হয়েছে। এবার দেশের নতুন সরকার কী ধরনের শাসন ব্যবস্থা কায়েম করবে, তা স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন তালিবান প্রধান হিবাতুল্লা আখুনজাদা।
তালিবান সুপ্রিমো বুধবার জানালেন, নতুন তালিবান সরকার গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে দেশ শাসন করবে না। দেশ শাসন করা হবে শরিয়ত আইন মেনে। হিবাতুল্লার এই বক্তব্যের পর আফগান মহিলা ও সংখ্যালঘুরা নতুন এক আতঙ্কের মধ্যে পড়েছন বলে খবর। মঙ্গলবারই নতুন সরকার গঠনের কথা ঘোষণা করেছে তালিবান। তালিবান মন্ত্রিসভায় রাষ্ট্রসংঘের জঙ্গি তালিকায় নাম থাকা সদস্যও রয়েছে।
আরও পড়ুন : ত্রিপল চুরি মামলায় শুভেন্দু ঘনিষ্ঠে বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি আদালতের
কাজেই নতুন তালিবান সরকার কোন পথে চলবে তা নিয়ে সকলেরই একটা কৌতূহল ছিল। এদিন কিছুটা হলেও সেই কৌতূহলের নিরসন হয়েছে আখুনজাদার বক্তব্যে। আখুনজাদা জানিয়েছেন, শরিয়ত আইনের আওতায় আন্তর্জাতিক আইন ও চুক্তিগুলি মেনে চলা হবে। পাশাপাশি সমস্ত প্রশাসনিক কাজ ও জনজীবন নিয়ন্ত্রিত হবে শরিয়ত আইন অনুযায়ী। আখুনজাদার এই বক্তব্যে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে, তারা যে উদার ভাবমূর্তি তুলে ধরার চেষ্টা করেছিল সেটা তারা আদৌ রক্ষা করবে না। মহিলাদের অধিকার ও মানবাধিকার রক্ষা করার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তাও তারা মানবে না।
আরও পড়ুন :আপনি কি এবার পুজোয় ঠাকুর দেখতে চান? তাহলে মানতেই হবে এই নিয়ম
অন্যদিকে তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করল নর্দার্ন অ্যালায়েন্স। বিরোধী জোটের নেতা আহমেদ মাসুদ স্পষ্ট জানিয়েছেন, তালিবান সরকার অবৈধ। তাই এই সরকারকে আমরা মানি না। দেশের প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের নেতাদের উচিত, এক সঙ্গে মিলিত হয়ে নতুন সরকার তৈরি করা। মাসুদ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তাঁরা তালিবানের বিরুদ্ধে যে যুদ্ধ করছেন তা চালিয়ে যাবেন। যতক্ষণ না দেশবাসীকে স্বাধীন আফগানিস্তান উপহার দিতে পারছেন ততক্ষণ এই যুদ্ধ চলবে। তালিবানের সঙ্গে আলোচনায় বসায় তিনি রাষ্ট্রসংঘেরও সমালোচনা করেন।