সোমবার বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় দফায় কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের কাছে শিক্ষকদের নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাজ্য ভিত্তিক স্কুলশিক্ষকদের শিক্ষকতার বাইরে কি অন্য কোনও কাজে ব্যবহার করেছে কেন্দ্রীয় সরকার? যদি করা হয়ে থাকে তবে কত জন শিক্ষককে শিক্ষকতার বাইরে কি কাজে ব্যবহার করা হয়েছে? ।
আরও পড়ুন-মমতাকে খুনের চেষ্টা হয়, লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন নেত্রী : নন্দীগ্রাম দিবসের মঞ্চ থেকে দোলা সেন
সোমবার সংসদে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের কাছে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন রাখেন, রাজ্যভিত্তিক সেই স্কুল শিক্ষকদের তালিকা কেন্দ্রীয় সরকার প্রকাশ করুক যেখানে শিক্ষকতার বাইরে অন্যকাজে শিক্ষকদের ব্যবহার করা হয়েছে। পাশাপাশি এই শিক্ষকদের কতজনকে নির্বাচনী কাজে পাঠানো পাঠানো হয়েছিল এবং কতজন করোনা সংক্রান্ত কাজে ব্যবহার করা হয়? এবং তা কতটা ঝুঁকিপূর্ণ কাজ ছিল? শিক্ষকতার কাজের বাইরে অন্যকাজে যে সকল শিক্ষকদের ব্যবহার করা হয় তাঁদের মধ্যে কতজনের মৃত্যু হয়েছে করোনার জেরে? তাঁদের পরিবারকে যদি ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়ে থাকে তবে তার পুর্ণাঙ্গ তথ্য দেওয়া হোক।
আরও পড়ুন-একলপ্তে ৭২ টি রাস্তা তৈরি করবে পূর্ত দফতর
অভিষেকের প্রশ্নের উত্তরে এদিন কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী অন্নপূর্ণা দেবী জানান, সংবিধানের ২৭ নম্বর ধারা শিশুদের বাধ্যতামূলক বিনামুল্যে শিক্ষার অধিকার ২০০৯ অনুযায়ী জনগণনা, দুর্যোগে ত্রান বণ্টন এবং নির্বাচনী দায়িত্ব ছাড়া শিক্ষকদের শিক্ষকতার বাইরে অন্য কোনও কাজে ব্যবহার করা হয় না। ইতিমধ্যেই এই সংক্রান্ত বিষয়ে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক নির্দেশিকা জারি করেছে যেখানে বলা হয়েছে, শিক্ষকদের শিক্ষকতার বাইরে অন্য কোনও কাজে নিয়োগ করা উচিৎ নয়। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও জানান, নিয়ম অনুযায়ী রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের বেশিরভাগ স্কুল রাজ্যসরকার ও প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে। একইসঙ্গে শিক্ষক নিয়োগ, চাকরির শর্ত এবং শিক্ষকতার বাইরে কোনও কাজে শিক্ষকদের ব্যবহার করা হবে তা সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রসাসনিক কর্তাদের আওতাভুক্ত।