এগরা: দলীয় শৃঙ্খলাকে আরও মজবুত ও নিয়ন্ত্রণ করতে এবার ‘অ্যান্টি- করাপশন সেল’ তৈরি করছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেস। দলের কাঁথি সাংগঠনিক জেলার প্রথম কোর কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন-দলের জমি বিক্রির অভিযোগ! শাস্তির মুখে রবিন?
রবিবার এগরার ঝাটুলাল হাইস্কুলে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, পাঁচজনের জেলা কোর কমিটি আগামীদিনে বর্ধিত করা হবে। সেই বর্ধিত কমিটি এই ‘অ্যান্টি-করাপশান সেল’-এর কার্যকর্তা নির্ধারণ এবং তার কার্যপ্রণালী ও প্রয়োগ সম্পর্কে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। সব মিলিয়ে আগামীদিনে জেলা তৃণমূল কংগ্রেস যে শৃঙ্খলার উপর বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন এবং ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচন। তার মধ্যে হতে পারে কাঁথি ও এগরা পুরসভার নির্বাচন। এই নির্বাচনগুলিকে পাখির চোখ করে বুথ থেকে জেলাস্তর পর্যন্ত সংগঠনকে আরও সক্রিয় ও শক্তিশালী করতে বদ্ধপরিকর নতুন জেলা কমিটি। কাঁথি সাংগঠনিক জেলার মধ্যে আটটি বিধানসভা রয়েছে।
গত বিধানসভা নির্বাচনে তার মধ্যে চারটিতে জয় পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। কাঁথি দক্ষিণ, কাঁথি উত্তর, খেজুরি ও ভগবানপুর কেন্দ্রে পরাজয়ের কারণ পর্যালোচনা করে, এই চারটি কেন্দ্র আগামিদিনে নিজেদের দখলে আনতে বিশেষ জোর দিচ্ছে নতুন জেলা কমিটি। ভোটের পর অন্য দল থেকে যোগ দিতে নতুন জেলা কমিটির কাছে আবেদন জানিয়েছেন। নেতা-কর্মীদের তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদানের নির্দেশিকা কী হবে তা, এদিন বৈঠকে ব্যাখ্যা করেন কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ও এগরার বিধায়ক তরুণকুমার মাইতি। সেই সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের মহিলা, যুব এবং শ্রমিক-সহ অন্যান্য শাখা সংগঠনের জেলা সভাপতিদের কাজের ক্ষেত্রে জেলা কমিটির সঙ্গে সমন্বয় রেখে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জেলা কমিটির অনুমোদন ছাড়া এবার অনাস্থা আনা যাবে না।
আরও পড়ুন-অসমে দিদিকে স্বাগত, হিমন্ত বিশ্বশর্মার এই মন্তব্যের কড়া জবাব দিল তৃণমূল কংগ্রেস
জেলা কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবার বিভিন্ন ব্লকে ব্লকে গিয়ে সাংগঠনিক সভা করা হবে। সেই সভাগুলোতে ব্লকের নানা সমস্যার সমাধান ও আলোচনা হবে। এদিনের বৈঠকে ছিলেন রামনগরের বিধায়ক ও মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি, প্রাক্তন মন্ত্রী জ্যোতির্ময় কর, চণ্ডীপুরের বিধায়ক সোহম চক্রবর্তী, পটাশপুরের বিধায়ক উত্তম বারিক, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেস যুব সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি, মামুদ হোসেন, খেজুরির পার্থপ্রতিম দাস, অমিয় ভট্টাচার্য, অর্ধেন্দু মাইতি প্রমুখ।