প্রতিবেদন : একেবারে শ্রীলঙ্কার মতোই পরিস্থিতির সাক্ষী হল ইরাক। এবার সে দেশে বিক্ষোভকারীরা দখল নিল সংসদ ভবনের। এমনকী, সংসদ ভবনের বাইরে গ্রিন জোনও চলে গিয়েছে বিক্ষোভকারীদের দখলে। গ্রিন জোনে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ভবন, সেনা সদর দফতর ও বিদেশি দূতাবাস। তবে বিক্ষোভকারীদের কোনও রকম বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেনি নিরাপত্তারক্ষীরা। যে কারণে কোনও বড় ধরনের সংঘর্ষের ঘটনার খবর মেলেনি।
আরও পড়ুন-মিড ডে মিলে অসুস্থ
তবে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ইরাকের পরিস্থিতির আসমান-জমিন ফারাক আছে। এদেশে অর্থের সংকট নেই। এদেশের সংকট রাজনৈতিক। ২০২১-এর অক্টোবর থেকে ইরাকে সরকার গঠন নিয়ে টালবাহানা চলছে। ইরাকি সংসদের ৩২৯ আসনের মধ্যে ৭৩টি দখল করে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল আল সদর ব্লক। কিন্তু তাদের সরকার গড়ার সুযোগ দেওয়া হয়নি। সে কারণে কিছুদিন আগে হঠাৎই সরকার গঠন প্রক্রিয়া থেকে সরে আসে সদর। অন্য একটি দল প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে সামনে এনেছে প্রাক্তন প্রাদেশিক গভর্নর মহম্মদ শিয়া আল সুদানির নাম। কিন্তু ইরাকের বেশিরভাগ মানুষই প্রধানমন্ত্রী পদে সুদানিকে মানতে নারাজ। তাঁদের দাবি, আল সদরের শিয়া নেতা মুক্তাদা আল সদরকে প্রধানমন্ত্রী করতে হবে। তাঁরা কোনও দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে প্রধানমন্ত্রী পদে দেখতে চান না।
আরও পড়ুন-বাড়ল আক্রান্ত ও মৃত
নিজেদের দাবি আদায়ে গত কয়েকদিন ধরে ইরাকের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী বাগদাদ এসেছেন। তাঁরা দখল করেছেন সংসদ ভবন। সেখানে ঢুকে রীতিমতো নাচ-গান করছেন বিক্ষোভকারীরা। এমনকী, কয়েকজনকে স্পিকারের টেবিলে শুয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। জনৈক বিক্ষোভকারী স্পিকারের চেয়ারে বসে রীতিমতো রুলিং দিচ্ছিলেন। সরকার গঠন নিয়ে টালবাহানার কারণে ইরাকের সংসদে এখনও চলতি অর্থবছরের বাজেট পাস করানো যায়নি।