প্রতিবেদন : উচ্চ আদালতে বিচারপতি নিয়োগে সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম ব্যবস্থা নিয়ে বারবার প্রকাশ্যে প্রশ্ন তুলছেন মোদি সরকারের শীর্ষ পদে থাকা ব্যক্তিরা। এই ঘটনায় বিচারবিভাগ ও সরকারের মধ্যে সংঘাত আরও তীব্র হচ্ছে। মোদি সরকার চায় যেকোনও প্রক্রিয়ায় কলেজিয়াম ব্যবস্থাকে ভণ্ডুল করে তাঁবেদার ব্যক্তিদের নিয়োগের মাধ্যমে বিচারবিভাগে নিজেদের কর্তৃত্ব কায়েম করতে।
আরও পড়ুন-শারদসম্প্রীতি
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি-সহ একাধিক বিচারপতি ও বিচারব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন। তারপরেও ক্রমাগত ইস্যুটিকে জিইয়ে রেখে কলেজিয়াম ব্যবস্থার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে নানা প্রশ্ন তুলে যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী, উপরাষ্ট্রপতি-সহ বিজেপির নানা স্তরের পদাধিকারীরা।
আরও পড়ুন-চড়িভাতি থেকে পিকনিক মাঝে ভগ্ন সেতু
এবার এই পরিপ্রেক্ষিতেই আইনমন্ত্রী কিরেণ রিজিজুর মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি রোহিংটন নরিম্যান। মুম্বইয়ে এই অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, স্বাধীন বিচারব্যবস্থার শেষ দুর্গটি যদি ভেঙে পড়ে তবে দেশের সামনে অন্ধকার ছাড়া কিছু থাকবে না। কলেজিয়ামের সুপারিশ করা নামগুলি আটকে রাখা গণতন্ত্রের পক্ষে মারাত্মক। আদালতের সিদ্ধান্ত সঠিক বা ভুল কি না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে নিয়োগ প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করা বিপজ্জনক। উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়ের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে প্রাক্তন বিচারপতির খোঁচা, সংবিধানের মূল কাঠামো রয়েছে, এবং ঈশ্বরকে ধন্যবাদ তা ভবিষ্যতেও থাকবে। নরিম্যানের পরামর্শ, কলেজিয়ামের সুপারিশ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে মতামত বা প্রতিক্রিয়া জানানোর জন্য অনন্তকাল সময় দেওয়া যায় না। এক্ষেত্রে অন্তত ৩০ দিনের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া উচিত। সাংবিধানিক বেঞ্চের ব্যাখ্যা অনুসরণ করা সরকারের কর্তব্য। নির্ভীক ও স্বাধীন বিচারপতিরাই এই ব্যবস্থার মেরুদণ্ড।