সংবাদদাতা, শান্তিনিকেতন : অমর্ত্য সেনের নামে কুৎসা করতে, এমনকী তাঁকে জড়িয়ে প্রাক্তন উপাচার্যকে মিথ্যাচার করতে গিয়ে এবার নিজের ফাঁদেই পড়লেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। জমি-বিতর্কে অধ্যাপক অমর্ত্য সেনের পক্ষ নেওয়ায় প্রাক্তন উপাচার্য রজতকান্ত রায়কে দুষলেন বিদ্যুৎ।
আরও পড়ুন-স্বনির্ভর গোষ্ঠীর তৈরি পোশাক এবার স্কুলে-স্কুলে
এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ আধিকারিক মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, অধ্যাপক রজতকান্ত রায় উপাচার্য থাকাকালীন ২০০৬ সালের ৩১ অক্টোবর এক চিঠিতে অধ্যাপক সেন রজতকান্ত রায়কে ‘স্নেহের রাণা’ বলে সম্বোধন করে লিজভুক্ত জমি হস্তান্তরিত করার জন্য বলেন। সেই হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় ২০০৬ সালের কর্মসমিতির ২৭ অক্টোবরের সভায়। অথচ ঘটনা হল চিঠিটি লেখা হয়েছে ৩১ তারিখ। সিদ্ধান্ত আগে, তারপরে চিঠি— এমন হাস্যকর যুক্তিতে বর্তমান উপাচার্যের প্রতিশোধমূলক আচরণই প্রমাণিত হচ্ছে। বিশ্বভারতীর তরফে সভার সিদ্ধান্তলিপিতে পরিষ্কার লেখা আছে, অধ্যাপক সেনের প্রাপ্য ১.২৫ ডেসিমেল।
আরও পড়ুন-কাপযুদ্ধে রোহিতের ভরসা সমর্থকরাই
কিন্তু তাঁকে দেওয়া হল ১.৩৮ ডেসিমেল। অর্থাৎ দেওয়া হল অতিরিক্ত ১৩ ডেসিমেল। তখন সভার সভাপতিত্ব করেন রজতকান্ত। এই থেকেই প্রমাণিত অমর্ত্যের দাবিই ঠিক। এবং মুখ্যমন্ত্রীর দাবিও যথাযথ। গত ৩০ জানুয়ারি অমর্ত্য সেনের বাড়িতে নথি দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, অমর্ত্য সেন যা বলেছেন তা সঠিক।