কমল মজুমদার, জঙ্গিপুর : মুর্শিদাবাদে একটি বিড়ি শ্রমিকদের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হাসপাতালের অনুমোদন দিলেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য দফতর ও শ্রম দফতর একসঙ্গে কাজ করে এই হাসপাতাল তৈরি করবে। মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণায় উচ্ছ্বাস বিড়ি মহল্লায়।
আরও পড়ুন-মুর্শিদাবাদে পর্যটন সার্কিট
বিড়ি শিল্পের ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছে মুর্শিদাবাদের অর্থনীতি। বহু মানুষ এই শিল্পের সঙ্গে পরোক্ষ কিংবা প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত। কিন্তু কেন্দ্রের নতুন নীতি ও তামাকজাত বিষয়ে একগুচ্ছ নিয়মের জন্য ধুঁকছে বিড়ি শিল্প। সঙ্গে দীর্ঘ লকডাউনে পশ্চিমবঙ্গে এই শিল্পের হাল খারাপ। মুর্শিদাবাদে বুধবারের প্রশাসনিক বৈঠকে সেই বিষয়েই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অবগত করেছেন বিধায়ক ও সাংসদরা। যাতে রীতিমতো উদ্বিগ্ন হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন-আম ও লিচুর সংরক্ষণে নতুন কেন্দ্র হচ্ছে মুর্শিদাবাদে
এই বিষয়ে তিনি সাংসদ আবু তাহেরকে নির্দেশ দেন ডেরেক ও’ব্রায়েনের সঙ্গে সংসদে বিষয়টা তুলতে। বলেন, ‘‘জাতীয় স্তরে আন্দোলন করতে হবে। তোমরাও খলিলুর ও জাকিরকে নিয়ে আন্দোলন করো।’’ এদিন প্রশাসনিক বৈঠকে বিড়ি শ্রমিকদের জন্য একটি আলাদা হাসপাতাল গড়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেহেতু বিড়ি শ্রমিকদের বেশিরভাগই গরিব অবস্থা থেকে উঠে আসেন, তাই তাঁদের আর্থিক দিকের কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন-মুর্শিদাবাদে জোর কর্মসংস্থানে
রেল কিংবা সেনাবাহিনীতে থাকলে আলাদা হাসপাতাল থাকে। তেমনই শ্রমিকদের জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ইএসআই হাসপাতাল গড়া হয়। তেমনই পশ্চিমবঙ্গে প্রথমবারের জন্য বিড়ি শ্রমিকদের কথা মাথায় রেখে আলাদা হাসপাতাল গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।