প্রতিবেদন : শীত গিয়ে সবে বসন্ত শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে রাজধানী দিল্লিতে চড়তে শুরু করেছে পারদ (Heatwave)। মৌসম ভবনের এক সিনিয়র বিজ্ঞানী জানিয়েছেন, কিছুদিনের মধ্যেই দিল্লির সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশ কিছুটা বাড়বে। হোলির আগেই দিল্লির তাপমাত্রা ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়াবে।
আবহাওয়া বিজ্ঞানী নরেশ কুমার জানিয়েছেন, উত্তর, পশ্চিম এবং মধ্য ভারতের সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় খুব একটা হেরফের হবে না। তাই ওই সমস্ত অংশে এখনই তাপপ্রবাহের (Heatwave) কোনও সতর্কবার্তা নেই। তবে কয়েকদিনের মধ্যেই সমভূমি এলাকার তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি এবং উপকূলীয় এলাকায় তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রিতে পৌঁছতে পারে। পাশাপাশি আগামী দু’দিন হিমাচল প্রদেশ, জম্মু-কাশ্মীর এবং উত্তরাখণ্ডে পশ্চিমি ঝঞ্ঝা অব্যাহত থাকবে। সাধারণত যখন মধ্যপ্রাচ্য থেকে গরম এবং জলীয় বাষ্পপূর্ণ বায়ু উত্তর-পশ্চিম ভারতীয় মহাদেশে প্রবেশ করে এবং বায়ুর গতিপথ পরিবর্তিত হয় তখনই শীতকালে বৃষ্টি হয় এবং তাপমাত্রায় বড় মাপের পতন ঘটে। গত কয়েকদিন হিমাচল প্রদেশে তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করেছিল। কিন্তু পশ্চিমি ঝঞ্ঝার কারণে ফের তাপমাত্রার পতন হয়েছে। সমভূমি এলাকায় পশ্চিমি ঝঞ্ঝার প্রভাব এখনও পৌঁছয়নি। সে কারণেই সমভূমি অঞ্চলে পারদ চড়তে শুরু করেছে। বিজ্ঞানী নরেশ কুমার আরও জানিয়েছেন, রাজস্থান, গুজরাত ও মধ্যপ্রদেশে কিছুদিনের মধ্যেই তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছতে পারে। তবে আগামী তিনদিনের মধ্যে মহারাষ্ট্রে তাপমাত্রা বাড়ার আগে এই রাজ্যেও তাপমাত্রা ৩ ডিগ্রি মতো কমতে পারে।
গ্রীষ্ম এবার কিছুটা আগেই শুরু হচ্ছে। উষ্ণ আবহাওয়া বড় মাপের প্রভাব ফেলতে পারে গম চাষে। তাপমাত্রা বাড়লে গম উৎপাদনে বড় ধরনের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অধিক তাপমাত্রা গম উৎপাদনে কী ধরনের প্রভাব ফেলছে তা পর্যবেক্ষণ করতে সরকার একটি কমিটি গঠন করছে বলে জানিয়েছেন কৃষিসচিব মনোজ আহুজা।
আরও পড়ুন: বাংলার নির্বাচনে কি বিজেপিকে সাহায্য করেছিল কংগ্রেস? রাহুলকে তীব্র কটাক্ষ অভিষেকের