প্রতিবেদন : বিহারে ফের ধাক্কা খেতে চলেছে বিজেপি (BJP)। ইতিমধ্যে বিজেপির সঙ্গ ছেড়েছে দুই দল। এবার অপর সঙ্গী এলজেপির তিন সাংসদও বিজেপি সঙ্গ ছেড়ে জেডিইউ ও আরজেডিতে যোগ দিতে চলেছেন। গত সপ্তাহে বিহারে ক্ষমতা হাতছাড়া হওয়ার পর থেকে বিজেপি একের পর এক ধাক্কা খেয়ে চলেছে। শক্তিক্ষয় হচ্ছে এনডিএ-র। ফলে বিহারে বিজেপি প্রায় একা হয়ে যাচ্ছে।
সূত্রের খবর, এলজেপির যে তিন সাংসদ মহাজোটের দিকে পা বাড়িয়ে রয়েছেন, তাঁরা হলেন— নওদা থেকে নির্বাচিত চন্দন সিং, খাগাড়িয়ার চৌধুরী মেহবুব আলি কেশর, বৈশালীর বীণা দেবী। মেহবুব আলি যোগ দিতে পারেন আরজেডিতে। চন্দন সিং এবং বীণা দেবী যোগ দিচ্ছেন নীতাশ কুমারের জেডিইউতে। তবে তিন সাংসদ মহাজোটের দিকে ঝুঁকলেও লোক জনশক্তি পার্টি বা এলজেপি এনডিএ ছাড়ছে না। আসলে বিহারের লোক জনশক্তি পার্টিতে আড়াআড়ি ভাঙন ধরে দুটো শিবির তৈরি হয়েছে। রামবিলাস পাসোয়ানের দলের কর্তৃত্ব তাঁর ছেলে চিরাগ পাসোয়ানের উপর আগেই বর্তেছে। পাশাপাশি প্রয়াত নেতার ভাই পশুপতি পারসের একটি আলাদা শিবির তৈরি হয়েছে। এলজেপির তিন সাংসদ আগেই পশুপতি পারসের শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন। এবার তাঁরাই মহাজোটের দিকে ঝুঁকছেন।
আরও পড়ুন: এ কোন ভারত? স্বাধীনতা দিবসের আগে মর্মান্তিক ছবি
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ২০২৪-এর লোকসভা ভোটে এনডিএ-র প্রার্থী হয়ে দাঁড়িয়ে জেতার সম্ভাবনা প্রায় নেই তাঁদের। তা বুঝেই তিন সাংসদ মহাজোটের দিকে পা বাড়িয়েছেন। নীতীশ কুমার বিজেপির হাত ছাড়ায় বিহারে প্রবল চাপে পড়ে গিয়েছে গেরুয়া দল (BJP)। এলজেপির একটি অংশ সরাসরি জেডিইউ-আরজেডি-কংগ্রেসের মহাজোটে শামিল হওয়ায় সেই চাপ আরও বাড়ল ।