এই সময়ের তিনটি পত্রিকা

এপ্রিলে আত্মপ্রকাশ করেছে নতুন পত্রিকা ‘বাঙালির বইপড়া’। আর পাঁচটা পত্রিকা থেকে একেবারেই আলাদা। পাতায় পাতায় রুচি এবং পরিকল্পনার ছাপ।

Must read

অংশুমান চক্রবর্তী: এপ্রিলে আত্মপ্রকাশ করেছে নতুন পত্রিকা ‘বাঙালির বইপড়া’। আর পাঁচটা পত্রিকা থেকে একেবারেই আলাদা। পাতায় পাতায় রুচি এবং পরিকল্পনার ছাপ। সম্প্রতি কে কী পড়লেন, কয়েকজন বিস্তারিত লিখেছেন। শঙ্খ ঘোষের প্রবন্ধের বই ‘ছেড়ে রেখেই ধরে রাখা’ পাঠশেষে কলম ধরেছেন পবিত্র সরকার। শিরোনাম ‘তাঁর বিনয়টি বড়ো সুন্দর’। রবীন্দ্রনাথ থেকে শুরু করে সাম্প্রতিক সময়ের কবি, লেখক, সম্পাদকদের নিয়ে লিখেছেন শঙ্খ ঘোষ। প্রতিটি প্রবন্ধ মুগ্ধ করেছে লেখককে। ভাব প্রকাশ করেছেন গভীর বিশ্লেষণে। ভাল লাগল হর্ষ দত্ত-র ‘সমালোচনার সমালোচনা’ গদ্যটি। সুখালোচনা এবং তন্নিষ্ঠালোচনা কী, কোন সমালোচনায় লেখক উপকৃত হন, দারুণ ব্যাখ্যা করেছেন। অন্যান্য লেখাগুলো উৎকৃষ্ট মানের। আছে ইউরোপের বাংলাবিদ ফ্রাঁস ভট্টাচার্য-র চমৎকার সাক্ষাৎকার। যদিও ফ্রান্সে জীবনানন্দ নিয়ে কীরকম আগ্রহ, প্রশ্নের উত্তরটি অনুপস্থিত। আছে বিশেষ ক্রোড়পত্র ‘নেতাজি ১২৫’। লিখেছেন অমিতাভ গুপ্ত, বেঞ্জামিন জাকারিয়া, দেবনারায়ণ মোদক, অনিন্দ্য ভুক্ত প্রমুখ। জাহিরুল হাসান সম্পাদিত পত্রিকাটি সংগ্রহে রাখার মতো। দাম ২৪৯ টাকা।

আরও পড়ুন-জামাই-আখ্যান

‘কলকাতার যিশু’ পত্রিকার মে সংখ্যা। প্রকাশিত হয়েছে সুধেন্দু মল্লিক সংখ্যা হিসেবে। তাঁর একগুচ্ছ কবিতার পাশাপাশি আছে তাঁকে নিয়ে বিভিন্নজনের লেখা। পিতামহ ছিলেন কবি কুমুদরঞ্জন মল্লিক। মুদ্রিত হয়েছে নাতিকে লেখা কুমুদরঞ্জনের চিঠি। আছে বাবা ও মায়ের লেখা চিঠিও। আলোক সরকার, অলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত, শরৎকুমার মুখোপাধ্যায়, প্রণবকুমার মুখোপাধ্যায়, বীতশোক ভট্টাচার্য আজ আর নেই। সংখ্যাটিতে আছে কবি ও ব্যক্তি সুধেন্দু মল্লিক সম্পর্কে তাঁদের ভাবনা। এছাড়াও প্রবন্ধ লিখেছেন শান্তি চক্রবর্তী, গৌরশংকর বন্দ্যোপাধ্যায়, সুজিত সরকার, স্বপন নন্দী প্রমুখ। আছে নিয়মিত বিভাগ। বিভিন্ন দেশের কবিদের কবিতা, কবিতা বিষয়ক গদ্য, অনুবাদ। সম্পাদক সাতকর্ণী ঘোষ। সংখ্যাটি সংগ্রহযোগ্য। দাম ১৫০ টাকা।

আরও পড়ুন-যুবভারতী ভরানোর ডাক দিলেন সুনীল

১৯ মে সারস্বত মঞ্চ-র মুখপত্র ‘১৯ মে’। সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে চতুর্থ সংখ্যা। এই সংখ্যায় স্মরণ করা হয়েছে বরাক উপত্যকার ভাষা আন্দোলনের শহীদদের। ভাষা সৈনিক ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের উপর একটি অসামান্য গদ্য লিখেছিলেন প্রয়াত অধ্যাপক ডঃ আনিসুজ্জামান। সংখ্যার শুরুতেই প্রকাশ করা হয়েছে তথ্য সমৃদ্ধ লেখাটি। আছে কয়েকটি প্রবন্ধ। কমলেশ দাশগুপ্তর লেখার শিরোনাম ‘ভাষা চিরায়ত; ভাষা আন্তর্জাতিক’। রথীন কর লিখেছেন ‘কাঁদো ভাষাজননী, কাঁদো…’। ‘ফেসবুকের বানান কি এমনই হতে হবে?’ শীর্ষক প্রবন্ধে অরুণাংশু ভট্টাচার্য আলোকপাত করেছেন হালফিলে বানান বিষয়ে উদাসীনতার দিকটি। নিবন্ধ লিখেছেন প্রবীর চট্টোপাধ্যায়। শিরোনাম ‘মানভূমের ভাষা আন্দোলন পৃথিবীতে ঘটা দীর্ঘতম ভাষা আন্দোলন’। লেখাগুলো এই সংখ্যার সম্পদ। পাশাপাশি আছে বাংলাদেশ, অসম এবং পশ্চিমবঙ্গের বিশিষ্ট কবিদের একগুচ্ছ কবিতা। সম্পাদনা করেছেন বিশ্বজিৎ রায় ও অমিত কাশ্যপ। দাম ৫০ টাকা।

Latest article