প্রতিবেদন : ফাঁস হয়ে গেল বিজেপির নোংরা ষড়যন্ত্র। মহিলাদের সম্মানের বিনিময়ে সাজানো ঘৃণ্য চক্রান্ত সন্দেশখালির যাবতীয় ঘটনা। সন্দেশখালি-২-এর (Sandeshkhali Incident) বিজেপি মণ্ডল সভাপতি গঙ্গাধর কয়াল ও শান্তি দোলুইয়ের স্টিং অপারেশন ভিডিওতেই পরিষ্কার হয়ে গেল বিজেপির নোংরা রাজনীতি।
ব্যক্তি ১ : তুমি বুঝতে পারছ দাদা, কী লেভেলের কাজ করেছে? রেপ হয়নি, তাকে রেপে কনভার্ট করিয়ে দিয়েছে।
ব্যক্তি ২ : দাদা (শুভেন্দু অধিকারী) সেখানে বাইরের লোক হয়ে তাদেরকে দিয়ে এটা করিয়েছে। মানে ক্ষমতা বুঝছ?
গঙ্গাধর : তাও আমাদের লোক না, সব টিএমসির লোক।
ব্যক্তি ১ : টিএমসির লোক, তাদের দিয়ে এটা করিয়েছে। আপনারা ওঁদের ব্রেনওয়াশটা কীভাবে করাতেন? সেটা বলুন দেখি।
গঙ্গাধর : আসলে আমাদের কাছে নির্দেশ ছিল। আর শুভেন্দুদা এখানে আমাদের হেল্প করেছে। শুভেন্দুদা বলেছিল, এটা না করাতে পারলে আর তাবড়-তাবড় মালকে গ্রেফতার না করাতে পারলে তোমরা ওখানে দাঁড়াতে পারবে না।
ব্যক্তি ১ : শুভেন্দুদা এই গোটা জিনিসটাকে কি কন্ট্রোল করত?
গঙ্গাধর : হ্যাঁ, শুভেন্দুদাই কন্ট্রোল করত। তার করার জন্য দাদার পিএ-ও এসেছিল।
ব্যক্তি ১ : পিএ কে?
গঙ্গাধর : পিএ হচ্ছে পীযূষ। ও এই জায়গায় জীবনে আসে না, শুভঙ্করের হাত ধরে ঘুরে বেড়ায়। আমাকে খুব একটা গুরুত্ব দেয় না বলে আমিও ওকে গুরুত্ব দিই না। ও যদি আমার সঙ্গে থাকত, আমি গোটা এরিয়া ওকে দিয়ে কন্ট্রোল করিয়ে নিতাম।
ব্যক্তি ১ : শুভঙ্কর গিরি, সন্দেশখালির বিজেপি কনভেনার। ও-ই তার মানে এখানে সবার ব্রেনওয়াশ করত?
গঙ্গাধর : না, আমাকে শুধু বলে দিত কী করতে হবে। আমাকে বলে দিত, এইভাবে কমপ্লেনটা করুন। আমি করে দিতাম।
ব্যক্তি ১ : তাহলে আপনারা মহিলাদের ব্রেনওয়াশটা কীভাবে করতেন? একটা মেয়ে যখন কমপ্লেনে লিখত যে তাকে রেপ করা হয়েছে, যেখানে সেটা আদৌ হয়নি। তাহলে সেক্ষেত্রে তো তারা না বলত আপনাকে।
গঙ্গাধর : না, তারা না বলেনি। আমরা যেটা বলেছি, ওরা সেটাই শুনেছে। আমরা ওঁদের বলেছি, আপনাদের এই আন্দোলন ধরে রাখতে গেলে, ওঁদের গ্রেফতার না করা পর্যন্ত এই আন্দোলন সাকসেসফুল হবে না। এদের গ্রেফতার না করাতে পারলে, পরবর্তীতে এরা আপনাদের টিকতে দেবে না। বুলেটের আঘাতে আপনাদের শেষ করে দেবে। আর তাই করে দিত।
গঙ্গাধর : অনেক মাথা খাটিয়ে এগুলো করতে হয়েছে। মেয়েদের শিখিয়ে দিতে হয়েছে। ধর্ষণের অভিযোগে ৭-৮ মাস আগের তারিখ দিতে হয়েছে, যাতে মেডিক্যালে কিছু না পাওয়া যায়। শুভঙ্কর ওখান থেকে ফোন করত, আর আমি এখানে বসে সব কাজ করেছি।
ব্যক্তি ১ : এটা তো পরিষ্কার কথা, রেপ তো হয়নি। কোনও মেয়ের কিন্তু রেপ হয়নি।
গঙ্গাধর : না। হয়নি। জবানবন্দির পর তাঁদের সঙ্গে বসতে হয়ছে, কথা বলতে হয়েছে।
ব্যক্তি ১ : এই মেয়েদের কি ট্রেনিং দেওয়া হয়েছিল?
গঙ্গাধর : কী বলবে না বলবে, সেটা বুঝিয়ে ট্রেনিং না দিলে চলবে কীভাবে?
গঙ্গাধর : দিল্লির এসটি কমিশনারের কাছে একজন মহিলা ট্রেনিং অনুযায়ী ঠিক-ঠিক বলতে পারেনি। আমরা শিখিয়েছিলাম, রেপ করেছে বলতে। পারেনি। জবা সিং বলে, সিংহপাড়ার। পরে আন্দোলনে ছিল, এখনও আছে।
ব্যক্তি ১ : যেসব মহিলাদের আপনারা সাজিয়ে-গুছিয়ে রেপের কেস করিয়েছেন, এরকম ক’জন আছে আপনার মণ্ডলে?
গঙ্গাধর : এই ধরুন, ১০-১৫ জন আছে এরকম।
ব্যক্তি ১ : এরা কি টাকা পেয়েছে?
গঙ্গাধর :হ্যাঁ, টাকা পেয়েছে। একবার দেওয়া হয়েছে।
ব্যক্তি ১ : এই টাকাটা কে পাঠিয়েছিল? শুভেন্দুদা?
গঙ্গাধর : হ্যাঁ, শুভেন্দুদা। তারপর শুভঙ্করের মাধ্যমে টাকা দেওয়া হয়েছে।
ব্যক্তি ১ : ওঁদের কত করে দিয়েছিল?
গঙ্গাধর : কত আর, ২ হাজার করে নিয়েছিল।
ব্যক্তি ২ : যে মহিলারা এত বড় রিস্ক নিয়ে একটা কাজ করল, তাঁদের এত কম?
গঙ্গাধর : হ্যাঁ, ওই ২ হাজার করে কেবলমাত্র! রেখাকেও দেওয়া হয়েছিল। তখনও ও প্রার্থী হয়নি। ও বলেছিল, আমার আরও একজন আছে। তাকেও দেওয়া হয়েছিল।
ব্যক্তি ২ :আপনার টোটাল পিস্তল ক’টা লাগবে? ক্লিয়ারলি বলুন তো!
গঙ্গাধর : কোরাকাটিতে ৩০টা আর মনিপুরে ২০টা হলেই হয়ে যাবে।
ব্যক্তি ২ :শিওর তো? ম্যানেজ হয়ে যাবে?
গঙ্গাধর :হ্যাঁ, হ্যাঁ, ম্যানেজ হয়ে যাবে?
ব্যক্তি ২ :আর কোনও আর্মসের সাপোর্ট লাগবে?
গঙ্গাধর : না, সন্দেশখালিতে আর কোনও অস্ত্র লাগবে না।
ব্যক্তি ২ :আপনার ম্যান পাওয়ার রেডি আছে তো?
গঙ্গাধর : সব রেডি আছে।
আরও পড়ুন- আজই শেষ তাপপ্রবাহের প্রথম স্পেল, কালবৈশাখীর সম্ভাবনা