প্রতিবেদন : বিধানসভার অধিবেশনে দুই সংস্থা সিবিআই ও ইডির আধিকারিকদের বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের অভিযোগ আনলেন তৃণমূল বিধায়ক তথা উপ- মুখ্যসচেতক তাপস রায়। সিবিআই-এর ডেপুটি ডিরেক্টর সত্যেন্দ্র সিং এবং ইডি-র অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টরের রথীন্দ্র বিশ্বাসের বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে। বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুমতি না নিয়েই নারদ মামলায় রাজ্যের দুই মন্ত্রী ও এক বিধায়কের বিরুদ্ধে আইন বহির্ভুত ভাবে চার্জশিট পেশ করার জন্যই কেন্দ্রের দুই এজেন্সি ইডি এবং সিবিআইয়ের দুই আধিকারিকের বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিশ পেশ হল বিধানসভায়। অধিবেশনের শেষদিনে সরকার পক্ষের অভিযোগ, দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিক অধ্যক্ষের পদের অমর্যাদা করেছেন। প্রসঙ্গত, নারদকাণ্ডে বর্তমান পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও বিধায়ক মদন মিত্র এবং প্রয়াত পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সিবিআই-ইডি তাঁর অনুমোদন ছাড়াই আদালতে চার্জশিট দেওয়ায় মাস আড়াই আগেই প্রবল আপত্তি তুলেছিলেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন : কৃষ্ণনগর থেকে আসানসোল, ঘোর সমস্যায় বিজেপি
নারদকাণ্ডে সিবিআই-ইডি বিধানসভা তিন সদস্যের বিরুদ্ধে যেভাবে চার্জশিট দাখিল করেছে তা সংশ্লিষ্ট আইনের বিরোধী। আইন এবং শীর্ষ আদালতের রায় অনুসারে বিধানসভার সদস্যদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলায় চার্জশিট দেওয়ার আগে অধ্যক্ষের অনুমোদন নেওয়া আবশ্যিক। কিন্তু এক্ষেত্রে কেন্দ্রের দুই এজেন্সি তা মানেনি। তারই বিরোধিতা করে এদিন স্বাধিকার ভঙ্গের অভিযোগ আনলেন তাপস রায়। বিধানসভার অধ্যক্ষকে না জানিয়ে আইন বিরোধী ভাবে শুধুমাত্র গায়ের জোরে রাজ্যপালের অনুমতি নিয়েই চার্জশিট দেওয়া হয়। ঘটনায় ক্ষুব্ধ হন অধ্যক্ষ। কেন তাঁকে অন্ধকারে রেখে চার্জশিটে জনপ্রতিনিধিদের নাম দেওয়া হল বিধানসভায় সশরীরে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে ইডি এবং সিবিআই আধিকারিকদের চিঠি দেন অধ্যক্ষ। প্রথমবার দুই তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের তলব করা হয় ৭ সেপ্টেম্বর। সেদিন কোনও সংস্থার তরফেই প্রতিনিধিরা হাজিরা দেননি। তারপরও একাধিকবার সিবিআই এবং ইডির আধিকারিকদের তলব করা হয়। কিন্তু তাঁরা হাজিরা না দিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন। পরে অবশ্য কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে দুই কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিককেই আদালতে হাজিরা দিতে হয়েছিল।