প্রতিবেদন : পুজো মিটতে না মিটতেই ফের ত্রিপুরায় শাসক বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দ্বারা আক্রান্ত তৃণমূল। দশমীর রাতে যুব তৃণমূলের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্যকে মারধরের অভিযোগ উঠল বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূলের অভিযোগ, গতকাল শুক্রবার রাতে বাড়ির সামনেই পুজো মণ্ডপে যুব তৃণমূলের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য শান্তনু সাহার ওপর চড়াও হয় দুষ্কৃতীরা। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়। গুরুতর জখম অবস্থায় আক্রান্ত যুব তৃণমূল নেতাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানিয়ে দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে।
বিজেপির মদতেই এ ধরনের ঘটনা ঘটছে বলে সরাসরি দাবি করেছেন ত্রিপুরা তৃণমূলের স্টিয়ারিং কমিটির সভাপতি সুবল ভৌমিক। তাঁর কথায়, ত্রিপুরায় দুর্গাপুজো খুব বড় উৎসব। সারাবছর ত্রিপুরাবাসী পুজোর দিনগুলির জন্য অপেক্ষায় থাকে। কিন্তু ত্রিপুরার বিজেপি সরকার মানুষকে সেই উৎসব শান্তিতে পালন করতে দেয়নি। অষ্টমীর রাতে ধর্মনগরে বিজেপি দুষ্কৃতীরা তৃণমূলের কার্যালয় ভাঙচুর করে। দশমীর রাতে রাজ্যের প্রতিষ্ঠিত যুবনেতা শান্তনু সাহার উপর তার বাড়ি বনমালীপুরে কাছেই চড়াও হয় ১০-১২টি বাইকে চেপে আসা দুষ্কৃতীরা। রাতের অন্ধকারে হেলমেটে মুখ ঢেকে মারধর করে শান্তনুকে। তারা বলতে থাকে, বনমালীপুরে কেউ তৃণমূল করতে পারবে না।
আরও পড়ুন : ভোটে জিতে রাষ্ট্রসঙ্ঘে নির্বাচিত ভারত, লজ্জাজনক হার পাকিস্তানের
সুবল ভৌমিক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবকে নিশানা করে বলেন, “যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ্যে বলে পুলিশ, বিচার ব্যবস্থা আমার হাতে, সেই রাজ্যে এমন ঘটনা তো স্বাভাবিক। পুলিশ রাজ, মাফিয়া রাজ কায়েম করে রাজ্যে শাসন করছে বিপ্লব দেব। কিন্তু মানুষ এখন অনেক সংঘবদ্ধ। তাই আর দিনের আলোয় নয়, রাতের অন্ধকারে বিরোধীদের উপর আক্রমণ চালাচ্ছে শাসক দলের গুন্ডারা। চম্বলের ডাকাতদের মতো বিজেপি সরকার ত্রিপুরায় লুটপাটের রাজনীতি শুরু করেছে। সাড়ে তিন বছরের শাসনে মানুষের নাভিশ্বাস উঠছে। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে সব জানিয়েছি। তাঁরা প্রতিনিয়ত যোগাযোগ করছেন আমাদের সঙ্গে। উৎসব মিটলেই বৃহত্তর আন্দোলন হবে ত্রিপুরায়।”
এই ঘটনার প্রতিবাদে আজ, শনিবার বিকেলে শান্তিপূর্ণ ভাবে আন্দোলনের মাধ্যমে পূর্ব আগরতলা থানা ঘেরাওয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেস। উল্লেখ্য, দুর্গাপুজোর ঠিক আগেই তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন যুবনেতা শান্তনু সাহা। ঘাসফুল শিবিরে যোগ দেওয়ার পর সেখানে দুর্দান্ত ভাবে সংগঠনের কাজ করছিলেন এই তৃণমূল যুবনেতা। সেই আক্রোশ থেকেই বিজয়া দশমীর রাতে পরিকল্পনা করে তাঁকে মারধর করা হয়েছে বলেই দাবি শান্তনুর।